দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
দীর্ঘ সময় দখলে থাকা ঢাকা মহানগরীর নিম্নাঞ্চলের জলপ্রবাহের জায়গা পুনরুদ্ধার, ৫২ নং ওয়ার্ডের জন্য নির্বাচিত অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) জন্য নির্ধারিত জায়গা দখলমুক্ত করা এবং এডিস মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩ ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ সোমবার (১৪ জুন) ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ, সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবির ত্রপা ভ্রাম্যমাণ আদালতগুলো পরিচালনা করেন।
ডিএসসিসির নিম্নাঞ্চল বিশেষত ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীর ডেমরা ও মাতুয়াইল এলাকার জলপ্রবাহের জায়গাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও দীর্ঘ সময় ধরে সেসব জায়গা দুর্বৃত্তদের দখলে ছিলো। ফলে জলাবদ্ধতার সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করতে থাকে।
এমতাবস্থায় সেই এলাকাগুলোতে দুর্বৃত্তদের দখলে থাকা জলপ্রবাহের জায়গা পুনরুদ্ধারে আজ ৩য় দিনে চূড়ান্ত অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাদসিক এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এরফান উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন আদালত আজ সেখানে অভিযান পরিচালনা করেছে।
অভিযানে জলপ্রবাহের জায়গায় তৈরি করা ব্যবসায়িক স্থাপনা, দোকান, থাকার ঘর, কাঠের ব্যবসা, বাঁশের ব্যবসাসহ নানাবিধ প্রতিষ্ঠানের আনুমানিক ৫ শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করে অপসারণ করা হয় এবং উদ্ধারকৃত জায়গায় আজ বিকেল থেকে খনন কাজ শুরু করা হয়।
এদিক আজ ডিএসসিসি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আদালত নগরীর ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য নির্বাচিত এসটিএস এর জায়গায় অবৈধ দখলে থাকা স্থাপনাসমূহ অপসারণ করছে। দ্বিতীয় দিনের মতো পরিচালিত এই অভিযানের মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে।
এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবির ত্রপা এর নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত আজ এডিস মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ৬২ নং ওয়ার্ডের ৩নং বাগানবাড়ি এলাকায় ‘মদিনা’ নামীয় একটি কয়েল ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে কয়েল ফ্যাক্টরিতে মশার লার্ভা পাওয়ায় একটি মামলা দায়ের ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
অভিযান প্রসঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, “ঢাকার নিম্নাঞ্চলে জলপ্রবাহের যে জায়গাগুলো ছিল, দীর্ঘ সময় ধরে সেসব জায়গা নানা কায়দায় দুর্বৃত্তরা দখল করে নেয়। কালের পরিক্রমায় দুর্বৃত্তরা সেখানে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান, বাঁশের দোকান, কাঠের দোকান, বসতবাড়ি, অস্থায়ী দোকান ইত্যাদির মাধ্যমে জলপ্রবাহের সেই জায়গাগুলো দখল করেছে।
চলাচলের জায়গা সৃষ্টির নামে জলপ্রবাহের অধিকাংশ জায়গায় দখলদাররা কাঠের দোকান দিয়ে জায়গাগুলো এমনভাবে দখল করে নিয়েছে যে, সেখানে পানি প্রবাহের ন্যূনতম সুযোগটুকুও অবশিষ্ট ছিল না। সেই জায়গায় এর আগে ২ দিন অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৩০০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
আজকের অভিযানে প্রায় দেড় শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করে জলপ্রবাহের পুরো জায়গা দখল মুক্ত করা হয়। সবমিলিয়ে জল প্রবাহের সেই জায়গায় ৩ দিনে প্রায় ৫ শত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। দখলমুক্তির পর আজ বিকেল থেকে সেখানে জলপ্রবাহের জায়গায় খননকাজ শুরু হয়েছে।” অভিযান চলাকালীন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
# প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।