দূরবীণ নিজস্ব প্রতিবেদক:
দুদকের মামলার আসামি পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি একেএম আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব ক্রোকের নির্দেশ বাতিলের আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ (সামারিলি রিজেক্ট) করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২৫ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
দুটি পৃথক আবেদন যথাযথ প্রক্রিয়ায় হয়নি মর্মে খারিজ করা হয়েছে বলে দুদুকের আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আইনে বিশেষ জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হয়। কিন্তু তারা ৭৭ দিন পর আপিল করেছেন। এ কারণে হাইকোর্ট সরাসরি আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে আউয়াল দম্পতির ব্যাংক হিসাবসহ সম্পত্তি জব্দই থাকছে।
আদালতে আজ একেএম আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ আওসাফুর রহমান বুলু। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশিদ আলম খান।
এর আগে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের নির্দেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুই মামলায় ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন। ওই দিন দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রায় ৪৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. আলী আকবর বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দুটিতে এ কে এম এ আউয়ালের বিরুদ্ধে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকার এবং লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। #