আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন ও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট চীন ও রাশিয়া।
একই সঙ্গে অবিলম্বে ফিলিস্তিনে সব ধরনের দমনমূলক কার্যক্রম থেকে সরে আসতে আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া এবং চীন। ফিলিস্তিনিদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বিরত থাকতে ইসরায়েলি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন।
বুধবার (১২ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৮ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ১৪টি শিশু ও তিনজন নারী রয়েছেন। গত কয়েকদিনে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন আরও তিন শতাধিক নিরীহ ফিলিস্তিনি।
এদিকে, গাজা উপত্যকায় এই আক্রমণ বন্ধের আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজ।
তিনি বলেছেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলা অব্যাহত রাখবে এবং দীর্ঘমেয়াদে পূর্ণ নীরবতা নিয়ে আসবে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জোনাথন কনরিকাস বলেছেন, যুদ্ধ আরও তীব্র হবে বলে মনে করছেন তিনি।
হামাস যুদ্ধবিরতি চাইতে পারে এমন খবরের বিষয়ে প্রশ্ন করলে এ ইসরায়েলি কমকর্তা বলেন, মনে হয় না আমার কমান্ডাররা এসব জানেন, অথবা এতে আগ্রহী।
এদিকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বুধবার বলা হয়, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকা ও জেরুজালেমে ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে জেরুজালেম, গাজা ও আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই ইসরায়েলকে থামাতে এবং ‘পাল্টা শিক্ষা’ দিতে হবে।
আঙ্কারা ইতোমধ্যে এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় ওই অঞ্চলে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। ২০১৮ সাল থেকেই অবশ্য এই প্রস্তাব দিয়ে আসছে তুরস্ক। #