দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ইহুদিবাদী ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা এবং ১০মে থেকে গাজায় নির্বিচার বিমান হামলা করে অন্তত ২৪ জন ফিলিস্তিনিকে শহীদ ও শত শত আহত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ। একইসঙ্গে অবিলম্বে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি সন্ত্রাসন, নির্যাতন বন্ধ ও দখলদারিত্ব অবসানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ন্যাপের নেতৃবৃন্দ।
বুধবার (১২ মে) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ আহ্বান জানান।
তারা বলেন, অবিলম্বে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর পরিচালিত ইহুদিবাদী ইসরাইলি নৃশংসতা বন্ধ করতে হবে। গাজায় বিমান হামলা বন্ধ করতে হবে। আল-আকসা মসজিদকে মুসলমানদের এবাদত বন্দেগির জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। ইহুদিবাদী ইসরাইলের অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে হবে। এ জন্য জাতিসঙ্ঘ, ওআইসিসহ বিশ্ব মুসলিম ও বিশ্ব সম্প্রদায়কে জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সুযোগ ক্রমেই হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে। বিপরীতে ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণ আরো নিরঙ্কুশ হচ্ছে। প্রতিদিন নতুন নতুন ফিলিস্তিন এলাকা দখলে নিচ্ছে ইসরাইল। তাদের নিজ এলাকা থেকে বিতাড়িত করে গড়ে তোলা হচ্ছে ইসরাইলের নতুন নতুন আবাসিক এলাকা। ফিলিস্তিনিরা রক্ত ঝরিয়ে প্রতিবাদ করছেন বটে।
কিন্তু সন্ত্রাসী কায়দায় সেই প্রতিবাদ দমন করছে ইসরাইল। যখন বেআইনিভাবে ইসরাইল এসব করছে তখন তা রুখার কেউ নেই। ফিলিস্তিনিদের উৎখাতের বিরুদ্ধে জোরালো কোনো আওয়াজ বিশ্বপর্যায় থেকে নেই। এ অবস্থায় অসহায় ফিলিস্তিনিদের আর্তনাদে বাতাস ভারী হয়ে উঠছে।
ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, ফিলিস্তিনিরা এখন নিজ দেশে পরবাসী। অনেক এলাকায় তাদের জীবন প্রবাসীদের চেয়েও খারাপ। ইসরাইলিরা নিরাপত্তার নামে ফিলিস্তিনি এলাকাগুলো ঘিরে ফেলছে। কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে তাদের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। শুক্রবার আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর হামলার ঘটনাটিও এই সূত্রে ঘটেছে। দফায় দফায় ইসরাইলি বাহিনী ফিলিস্তিনিদের ওপর চড়াও হয়। শেষ পর্যন্ত তারা আল-আকসা মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায়।
তারা বলেন, উপাসনার সময় রাষ্ট্র্রীয় কোনো বাহিনীর এভাবে হামলার নজির কেবল ইসরাইলেই দেখা যায়। সাধারণত উপাসনাকে বিশ্বের মানুষ পবিত্র কর্ম হিসেবে গণ্য করে। এই অবস্থায় রাষ্ট্রীয় বাহিনী কাউকে হামলা চালালে তীব্র প্রতিক্রিয়া হওয়ার কথা। বাস্তবে ইসরাইলের সাম্প্রদায়িক সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শক্তিশালী কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। এ ঘটনায় শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো শুধু একটি গতানুগতিক বিবৃতি দিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রসাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নও সুর মিলিয়েছে। এই প্রতিক্রিয়ার কার্যকারিতা না থাকায় ইসরাইল সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে বিরত হবে না। অতিতেও এমনটিই দেখা গেছে। শেষ পর্যন্ত ইসরাইলের সন্ত্রাসের প্রতিই পশ্চিমাদের সমর্থন থাকে।
নেতৃদ্বয় বলেন, ফলে ইসরাইলের মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো প্রতিকার পান না ফিলিস্তিনিরা। অন্য দিকে আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে এখন আর মুসলিম চেতনা তেমন কার্যকর নেই, একইভাবে আরব জাতীয়তাবাদের চেতনাও অনুপস্থিত। এমন হামলার প্রতিকার পেতে হলে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে জোরালো প্রতিবাদ জানাতে হবে। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।