দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে সবখাল অবৈধ দখল দখলমুক্ত ও পুনরুদ্ধারের পাশাপশি আর্বজনা পরিস্কার করতে হবে ।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে গাবতলী সংলগ্ন কল্যাণপুর স্টর্ম ওয়াটার পাম্প হাউজ এরিয়ায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম সহ পাম্পের রিটেনশন পন্ড এর জন্য অধিগ্রহণকৃত জমি পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আজ রাজধানীতে জলাবদ্ধতা নিরসন এবং ওয়াসার নিকট থেকে খাল হস্তান্তরের সময় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে দেয়া কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি এবং ‘কল্যাণপুর পাম্পের রিটেনশন পন্ড’ এর জন্য অধিগ্রহণকৃত জমি পরিদর্শন করতে আসেন।
পরিদর্শনকালে ডিএনসিসির মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ঢাকা জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শীর্ষস্থানীয় প্রকৌশলী, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা,স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরাও উপস্থিত ছিলেন।
ডিএনসিসির মেয়র রিটেনশন পন্ডের জন্য নির্ধারিত জায়গা অবৈধ দখলে থাকার বিষয়টি মন্ত্রীকে অবহিত করলে মন্ত্রী অবহিত করেন। পরে মন্ত্রী বলেন, অবৈধ দখলদারদের নির্মিত সব অবকাঠামো উচ্ছেদ করে ওয়াটার পন্ড নির্মাণ করার ব্যবস্থা নিতে হবে। উচ্ছেদ অভিযানকালে প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও শান্তিপ্রিয় জনগনের সহযোগিতা করে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি ।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর সিটিতে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে পাম্প রিটেনশন পন্ডের জন্য এখানে ১৭১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু অধিকৃত এ জায়গায় অনেকেই অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করেছে । এসব অবৈধ অবকাঠামো উচ্ছেদ করে পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নগরবাসীর শাস্তির জন্য যা যা করা দরকার তার সবই করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি ।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অধীন থাকা খালগুলোর দুই পাড় দখল করে সংকুচিত করা হয়েছে। খালের দখল ঠেকাতে সীমানা নির্ধারণের জন্য সীমানা পিলার স্থাপনের ব্যবস্থা নিতে দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
কল্যাণপুর পাম্পের গুরুত্ব ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনকালে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ‘কল্যাণপুর স্ট্রং ওয়াটার পাম্প স্টেশন সংলগ্ন রেগুলেটিং পন্ড সংরক্ষণ প্রকল্প (ফেজ-২)’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে অবহিত করলে মন্ত্রী তা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করতে বলেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
ডিএনসিসির মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, নগরবাসীর কল্যাণে প্রয়েপজনীয় সব কিছুই করা হবে। তিনি বলেন, তবে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ডিএনসিসির অবস্থান অত্যন্ত কঠোর।
তিনি বলেন, জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানে সুপরিকল্পিত জলাধার খুবই প্রয়োজন। এজন্য প্রয়োজনীয় জমিও অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু জলাধারের জন্য নির্ধারিত ১৭১ একর জমির মধ্যে ১৬৯ একর জমিই অবৈধ দখলদারদের দখলে রয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক।
মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, ২২১ কোটি টাকা ব্যায়ে “গাবতলী পরিচ্ছন্ন কর্মী নিবাস” এ পনের তলাবিশিষ্ট চারটি ভবন ছাড়াও চার তলাবিশিষ্ট একটি স্কুল ভবনও নির্মাণ করা হচ্ছে। এখানে টয়লেট, রান্নাঘর ও বারান্দাসহ থাকার কক্ষ সম্বলিত ৭৮৪ টি ফ্ল্যাটের প্রতিটিতে একটি করে পরিবারের আবাসনের সুব্যবস্থা থাকবে।
পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী কল্যাণপুর পাম্প স্টেশন এবং পাম্পের রিটেনশন পন্ডের জন্য সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখেন। এছাড়া, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য গাবতলীতে নির্মিতব্য বহুতল ভবনের কার্যক্রমও পরিদর্শন করেন মোঃ তাজুল ইসলাম।#