দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
অবশেষে রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় হাজি মুসা ম্যানশন থেকে ৭ পিকআপ রাসায়নিক অপসারণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।ওই ৬তলা বাড়ি নিচ তলায় ১২টি রাসায়নিক দোকান এবং গুদাম ছিল।
এসব দোকান পরিচালনায় সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিস ও বিস্ফোরক পরিদফতরের ছাড়পত্র ছিল না। এখন গুদাম এবং দোকানগুলোতে কিভাবে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, তা জানা যায়নি। ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই ম্যানশনের নিচতলা এবং দ্বিতীয় তলা থেকে এসব রাসায়নিক অপসারণ করা হয়। পরে ছয়তলা ভবনটি সিলগালা করেছে ডিএসসিসি।
রাসায়নিক অপসারণ কার্যক্রম তদারকিতে নেতৃত্ব দেন ডিএসসিসির অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী।
তবে ঝুঁকি এড়াতে ওই ভবনের দোকান এবং গুদাম থেকে রাসায়নিকগুলো অপসারণ করা হয়েছে। এসব রাসায়নিক মাতুয়াইলে ডিএসসিসির ল্যান্ডফিলে পুঁতে ফেলা হবে।
তিনি বলেন, এই অগ্নিকাণ্ডে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২০ থেকে ২২ জন। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের চারজন কর্মী আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ভবনটি সিলগালা করার আগে ভাড়াটিয়াদের অনেকেই নিজ ফ্ল্যাটে তালা দিয়ে গেছেন বলে জানান হায়দার আলী। তিনি বলেন, ভাড়াটিয়ারা নিজ নিজ ফ্ল্যাটে তালা দিয়ে গেছেন। এখন ভবনটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে বাড়ির ভেতর এখনো ধোঁয়া এবং গরম আছে। ফায়ার সার্ভিস বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে।
বাড়ির মালিককে আটক করার বিষয়ে ডিএসসিসির অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আমরা বাড়ির মালিকের কোনো সন্ধান পাইনি। এ বিষয়ে ভাড়াটিয়ারা তেমন কিছু বলতে পারছে না। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ব্যবসা করার জন্য কাউকেই ট্রেড লাইসেন্স দেয়া হয়নি। আগে যাদের দেয়া হয়েছিল, কয়েক বছর আগে থেকেই তাদের লাইসেন্স নবায়ন বন্ধ রয়েছে। এখন আর ট্রেড লাইসেন্স দেয়া হবে কি-না তা নিশ্চিত নয়। #