দূরবীণ নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর উপকন্ঠে কেরানীগঞ্জের আটি ভাওয়ালে বাবা-মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হক।
রোববার (১১ এপ্রিল) সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মিতা হক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।
রোববার দুপুরে কেরানীগঞ্জের ভাওয়াল স্কুল মাঠে মিতা হকের জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মিতা হকের জামাতা, অভিনেতা মোস্তাফিজ শাহীন।
আজ বেলা ১১টায় তার মরদেহ নেওয়া হয় ছায়ানট প্রাঙ্গনে। সেখানে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিত্ব সাদুজ্জামান নূর এমপি, বাপ্পা মজুমদার প্রমুখ।
ছায়ানটের সঙ্গে মিতা হকের আত্মিক সম্পর্ক ছিল। প্রতিষ্ঠানটির রবীন্দ্রসংগীত বিভাগের প্রধান ছিলেন তিনি। তাছাড়া দায়িত্বপালন করেছেন রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলন পরিষদের সহ-সভাপতি হিসেবে। এছাড়া সুরতীর্থ নামে একটি সংগীত প্রশিক্ষণ দল ছিল এই শিল্পীর।
গত ২৫ মার্চ নমুনা পরীক্ষা করলে মিতা হকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপর বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। গত ৩১ মার্চ থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মিতা হক পাঁচ বছর ধরে কিডনি রোগেও ভুগছিলেন। নিয়মিত ডায়ালাইসিস নিয়ে ভালোও ছিলেন তিনি। কিন্তু এবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মানসিক ও শারীরিকভাবে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েন।
ঢাকায় ১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বরে মিতা হক জন্মগ্রহণ করেন। প্রয়াত অভিনেতা খালেদ খানের স্ত্রী তিনি। তার চাচা দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অগ্রপথিক ও রবীন্দ্র গবেষক ওয়াহিদুল হক। মিতা হক ও খালেদ খান দম্পতির কন্যা জয়ীতাও রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী।
বাংলাদেশ বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের তালিকাভুক্ত শিল্পী মিতা হক। এককভাবে মুক্তি পাওয়া মোট ২৪টি অ্যালবাম আছে তার। ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন তিনি। এছাড়া সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২০ সালে একুশে পদক পান তিনি।#