দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
বেসিক ব্যাংকের ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ কারী স্ক্র্যাপ (জাহাজ ভাঙা) ব্যবসায়ী গাজী বেলায়েত হোসেন ওরফে জি বি হোসেনের বিদেশ যাত্রার অনুমতি চেয়ে করা আবেদন সাড়া দেননি হাইকোর্ট। এর ফলে তার বিদেশে যাওয়ার অনুমতি মিলেনি উচ্চ আদালত থেকে।
রোববার (১১ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ সংক্রান্ত আবেদন শুনানি নিয়ে আবেদনটি কার্যতালিকা (কজলিষ্ট) থেকে বাদ দিয়ে আদেশ দেন।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। তিনি জানান, বিদেশে যাওয়ার অনুমতি নিতে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন।
তিনি বলেন, আদালত তাকে অনুমতি না দিযে সেটি কার্যতালিকা (আউট অব লিস্ট) থেকে বাদ করে আদেশ দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ‘ভুয়া ঋণের নামে বেসিক ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা থেকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয় দুর্নীতি দমণ কমিশনে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। তাই তার আবেদন শুনেনি আদালত।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান।
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জানান, ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল গাজী বেলায়েতের বিদেশে যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন। তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। আজ আবারও বিদেশ যাওয়ার অনুমতি নিতে আসলে ওই আবেদন শুনানি না করে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন আদালত।
গত বছর পুলিশের বিশেষ শাখার কাছে দুদকের দেওয়া বেলায়েতের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞার চিঠিতে বলা হয়, ‘বেসিক ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা থেকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ভুয়া ঋণের নামে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয় কমিশনে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে ৬১টি মামলা করা হয়েছে, যার তদন্ত চলমান।
জানা গেছে, বেলায়েত বেসিক ব্যাংকের বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছেন মেসার্স বেলায়েত নেভিগেশন ও বেশ কয়েকটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে। তার মূল ব্যবসা পুরনো জাহাজ এনে ভাঙা বা স্ক্র্যাপের। এসব ঋণ নেওয়ার জন্য বেলায়েত বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চু ও তৎকালীন গুলশান শাখার ম্যানেজার শিপার আহম্মেদসহ কয়েক কর্মকর্তাকে ‘বিশাল অঙ্কের’ ঘুষ দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বেসিক ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ৩০০ কোটি টাকার ঋণ ১২টি কোম্পানির নামে দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে এসএফজি শিপিং লাইন, এস রিসোর্সের শিপিং লাইন, এস সুহী শিপিং লাইন, শিফান শিপিং লাইন, এশিয়ান শিপিং লাইন, ল্যাবস এন্টারপ্রাইজ, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি, ডেল্টা সিস্টেমস লিমিটেড, ব্রাদার্স এন্টারপ্রাইজ, গ্রীন বাংলা হোল্ডিং কিয়েব ট্রেডিং এবং এম নাছিরউদ্দিন ও বাসগৃহ প্রোপাটিজ।
কোম্পানিগুলো ১৭টি ব্যাংকের ২৪টি শাখা থেকে ৩৩টি প্রতিষ্ঠান ও ৮ ব্যক্তির নামে ৩০০ কোটি টাকা তুলে নেয়। এর মধ্যে একাধিক শিপিং লাইনের সঙ্গে বেলায়েতের সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।#
এই সব চোর বাটপারদের ব্যাপারে কি বলব ! সবার আগে ব্যাংকের চোর বাটপার যারা চেয়ারম্যান , পরিচালক , ব্যাংকের কর্মকর্তা এদের সবার পোঁদের মাঝে ধুতুরা/চোতরা পাতা দিয়ে পিটিয়ে সারা জীবনের জন্য জেলের কন্ডেম সেলে রাখা । ওদের বউ বাচ্চাদের সৌখিন জীবনের সুখ কেড়ে নিয়ে রাস্তায় ছেড়ে দেয়া দরকার ।