দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
লকডাউনে উচ্চ আদালতের ৩৫টি ভার্চুয়াল বেঞ্চের দাবিতে প্রধান বিচারপতিকে স্মারকলিপি প্রদান এবং সুপ্রিমকোর্ট চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন সাধারণ আইনজীবী ঐক্য পরিষদ। আইনজীবীরা লকডাউনে ভার্চুয়ালি বেঞ্চে, বিচারিক আদালতে ফাইলিং ও জামিন শুনানির দাবি জানিয়েছেন।
রোববার (১১ এপ্রিল) দুপুরে সাধারণ আইনজীবী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন মেহেদীর নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন আইনজীবীরা। এর আগে আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতিকে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধনে মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী বলেন, কোনো অবস্থাতেই সাংবিধানিক আদালত বন্ধ থাকতে পারে না। বিচার প্রার্থী জনগণের মতো বিচার নিশ্চিত করতে আদালত চালু রাখতে হবে। করোনায় ৩৫টি ভার্চুয়াল বেঞ্চ চালু রাখার সক্ষমতা আছে সুপ্রিম কোর্টের। এটা আগে প্রমাণিত হয়েছে।
মানববন্ধনে অ্যাডভোকেট মামুন মাহবুব, অ্যাডভোকেট রফিকুল হক তালুকদার রাজা, অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা, অ্যাডভোকেট এ আর রায়হান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আইনজীবী নেতারা বলেন,করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের সময় হাইকোর্ট বিভাগে ৩৫টি ভার্চুয়াল বেঞ্চে বিচারিক কার্যক্রম চালু করার জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু এই বিষয়ে সুনিদিষ্ট কোন সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় তারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন।
আইনজীবী নেতারা বলেন, দেশের সব ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে আত্মসমর্পণের সুযোগ, আসামির জামিন শুনানি, নতুন মামলা ফাইলিং ও শুনানির ব্যবস্থা করাসহ সব মামলা জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও ট্রাইব্যুনালে সব ধরনের শুনানির ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
তারা বলেন, এবার লকডাউনে কেন শুধু চারটি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। আইনজীবী-বিচারপ্রার্থীরা প্রধান বিচারপতির কাছে জানতে চান। কেন অধস্তন আদালতে একটি মাত্র কোর্ট খোলা রেখে বাকিগুলো বন্ধ রাখা হলো। এরফলে সারাদেশে প্রায় ৬০ হাজার আইনজীবী আজ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।’
তারা বলেন, গত ১৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটি শেষে গত ১ এপ্রিল নিয়মিত কোর্টের কার্যক্রম ভার্চুয়ালি এবং সরাসরি বিচারিক কার্যক্রম চালু হয়।এরপর গত ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম সীমিত পরিসরে মাত্র ৪টি বেঞ্চে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
এর মধ্যেমে রিট, দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার বিষয়ে একটি করে ডিভিশন বেঞ্চ এবং কোম্পানি ও অ্যাডমিরালটি সংক্রান্ত মামলার কার্যক্রম সীমিত পরিসরে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে চালানোর জন্য হাইকোর্ট বিভাগের চারটি বেঞ্চ চালু আছে। এছাড়া নিম্ন আদালতে মাত্র একটি করে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট খোলা ( সিজেএম/ সিএমএম) আছে।
এ পরিস্থিতিতে বিচারপ্রার্থী জনগণ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত এবং আইনজীবীরা আইনি সেবা না দিতে পেরে পেশাগত দিক থেকে বঞ্চিত।
এমতাবস্থায় ভার্চুয়াল ও সরাসরি দেশের সকল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলার ফাইলিং, আত্মসমর্পণ, জামিন ও অন্যান্য শুনানির জন্য সকল জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ট্রাইব্যুনালে সকল প্রকার শুনানি এবং হাইকোর্ট বিভাগে ভার্চুয়াল বেঞ্চের সংখ্যা ৩৫ টি করার জন্যে আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি। /