ছবি সংগৃহিত
দূরবীণ নিউজ ডেস্ক:
করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এবার রাজধানীসহ সারাদেশে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তবে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়া হলেও কেন্দ্রের বাইরে মানা হয়নি তেমন কোনো স্বাস্থ্যবিধি।
শুক্রবার (২ এপ্রিল) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল ১০টায় ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। এক ঘণ্টাব্যাপী এ পরীক্ষা আগের নিয়মানুযায়ী হয়েছে। সারাদেশের ৫৫টি কেন্দ্রে একযোগে সকাল ১০টায় শুরু হয় মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা।মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আবেদন করেন ১ লাখ ২২ হাজার শিক্ষার্থী। আগের নিয়মেই হয়েছে এবারের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা। ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষার ফলাফলের সঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জিপিএর ১০০ নম্বরসহ মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে জাতীয় মেধা তালিকা করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে মেডিক্যাল কলেজগুলোতে।
সকাল ৭টা থেকেই প্রতি কেন্দ্রে ভিড় জমাতে থাকেন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। ফলে সকাল ৮টা দিকে রাজধানীর পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে পরিণত হয় জনসমুদ্র। কোথাও মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি। প্রতিটি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রে প্রবেশের কড়াকড়ি থাকলেও বাইরে মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি।
যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনের জন্য পরিদর্শন টিম গঠন করা হয়েছে। পরিদর্শক টিম পরীক্ষার দিন কেন্দ্র পরিদর্শন করবে।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, টিচার্স ট্রেনিং কলেজে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে ভিড় করেন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা শুরু হওয়ার দুই ঘণ্টা আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন পরীক্ষার্থীরা। কেন্দ্রে প্রবেশের সময় শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা পরিমাপ ও হাতে স্যানিটাইজার দেওয়া হয়। কিন্তু বাইরে পরীক্ষার্থীর অভিভাবকরা মানেননি নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পরীক্ষা শেষ হয়েছে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থী মাস্ক পরে কেন্দ্রে এসেছেন। পরীক্ষা দিতে মাস্ক পরে আসা বাধ্যতামূলক ছিল। তবুও যারা ভুল করে মাস্ক না পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে এসেছেন তাদের মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছে।
#