দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
র্যাব-৩ এর অভিযানে রাজধানীর গুলশান, উত্তরা এবং রামপুরা থানাধীন এলাকা থেকে অনলাইনে কুরুচিপূর্ণ ভিডিওর মাধ্যমে জনসাধারণের সাথে প্রতারণা এবং ব্ল্যাকমেইল করার অপরাধে ৪ জন গ্রেফতার হয়েছে।
ওই ৪জন হলেন,১)কাজী কাদের নেওয়াজ @ পাশা ভাই @ আরিয়ান (২৬), ঠিকানা জেলা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ।২)সিয়াম সাবের রাহাত @ শান আহমেদ (২২), ঠিকানা জেলা-কুষ্টিয়া। ৩) শান্ত আহমেদ @ সিফাত আহমেদ (২২), ঠিকানা জেলা-গাজীপুর এবং ৪) মাসুম বিল্লাহ @ শ্যামল (২৮), ঠিকানা জেলা-পটুয়াখালী।
গ্রেফতারকালে তাদের কাছ থেকে ৪ টি মোবাইল ফোন, ৪ টি সিমকার্ড এবং ৯৮ পাতা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের স্কীনশর্ট উদ্ধার করেছেন র্যাব-৩ এর কর্মকর্তারা।
বুধভার (৩১ মার্চ) র্যাব-৩ এর পাঠানো এব প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়,সম্প্রতি র্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় প্রতারক এবং কুরুচিপুর্ণ ব্যক্তিবর্গ অনলাইনে এসকর্ট সার্ভিস (অনলাইন যৌনব্যবসা) নামের অপকর্ম পরিচালনা করছে।
মোবাইল ও মেমোরী কার্ডে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি ও ভিডিও সংরক্ষিত রেখে বিভিন্ন সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেনামী আইডি খুলে বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে অশ্লীল কথাবার্তা বিনিময়, কুরুচিপূর্ণ ছবি ও ভিডিও আদান-প্রদানের মাধ্যমে যুব সমাজকে আকৃষ্ট করে তাদের নৈতিকতার অবক্ষয় ঘটাচ্ছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে আজ বুধবার ২ টা ৪৫ ঘটিকায় ঢাকা মহানগরীর গুলশান, উত্তরা এবং রামপুরা থানাধীন এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এই চক্রের সদস্যদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও তাদের ব্যবহৃত ফেইক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো পর্যালোচনা করে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ ওয়েবসাইট কিংবা সিক্রেট ফেসবুক পেইজ খুলে রাজধানীতে অনলাইন এসকর্ট সার্ভিস (অনলাইন যৌনব্যবসা) নামের অপকর্ম পরিচালনা করতেন।
অনৈতিক এই ব্যবসায়ীদের কবলে পড়ে সাধারণ জনগণ বিশেষ করে যুব সমাজের অধঃপতনসহ সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। ডিজিটাল দেহ ব্যবসার অন্যতম নাম এসকর্ট সার্ভিস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় খুব সহজেই মানুষ অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হচ্ছেন এবং তার পাশাপাশি প্রতারিত হচ্ছেন অনেকেই।
এইসব অবৈধ ব্যবসায়ীর হাত ধরেই অনলাইন দেহ ব্যবসা ব্যাপক বিস্তার লাভ করছে। এই চক্র অনলাইনে কাস্টমারদের কাছ থেকে অর্ডার নিতেন, মেয়েদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতেন এবং জায়গার ব্যবস্থা করে দিতেন। মেয়েদের বেশিরভাগই কলেজ/ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া তরুণী।
# প্রেস বিজ্ঞপ্তি।