দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
দুর্নীতির মামলার আসামি কিংবা সন্দেহ ভাজনদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে আপাতত আদালতের অনুমতি নিতে হবে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক)।
কারণ হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আগামী ৫ এপ্রিল শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন চেম্বার জজ আদালত। এখন দুদককে অপেক্ষা করতে হবে আপিল বিভাগের আদেশের জন্য।
রোববার (২৮ মার্চ) আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টে রায় স্থগিত না করে দুদকের আবেদন আগামী ৫ এপ্রিল শুনানির আদেশ দিয়েছেন। আদালতে আজ দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও মুন্সী মনিরুজ্জামান।
আজ রোববার গণমাধ্যমকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। এর ফলে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিতে আদালতের অনুমতি আপাতত নিতেই হবে।
আইনজীবী মুন্সী মনিরুজ্জামান বলেন, দুদকের করা আবেদনটি ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়েছে। ফলে আপাতত হাইকোর্টের ওই রায় বহাল থাকছে। আজকের আদেশের ফলে রিটকারী আতাউর রহমানের বিদেশ যেতে বাধা নেই।
জানা যায়, এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে গত ১৬ মার্চ হাইকোর্ট কিছুপর্যবেক্ষণসহ রায় দিয়েছিলেন ‘সুনির্দিষ্ট বিধি বা আইন প্রণয়ন না করা পর্যন্ত দুদকের করা মামলার আসামি বা সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তির বিদেশ গমনে ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে দুদক নয়, সিদ্ধান্ত দেবেন ‘বিশেষ জজ আদালত’।
গত মার্চ ২২ আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের অবকাশকালীন চেম্বার জজ আদালত দুদকের আবেদনটি শুনানির জন্য ২৮ মার্চ দিন ধার্য করেন। আজ নির্ধারিত দিনে আবেদনটি শুনানিতে কোন আদেশ দেননি চেম্বার জজ আদালত।
দুদকের দেয়া নিষেধাজ্ঞার চিঠি অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ অভিমত দিয়ে বলেন, সুনির্দিষ্ট বিধি বা আইন প্রণয়ন না করা পর্যন্ত দুর্নীতি মামলার আসামি বা সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তির বিদেশ গমনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়ে দুদক নয়, সিদ্ধান্ত নেবেন বিশেষ জজ আদালত।
২০২০ সালের ২৪ আগস্ট আতাউর রহমানের সম্পদের তথ্য চেয়ে নোটিশ দেয় দুদক। এই নোটিশের পর ২২ অক্টোবর তিনি তার সম্পদের তথ্য দুদকে দাখিল করেন। এরপর দুদক অনুসন্ধানে নামে।
দুদক গত বছরের ২০ ডিসেম্বর আতাউর রহমানের বিদেশ গমনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) চিঠি দেয়। ওই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন আতাউর রহমান।/