দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার ডাক ,পাকিস্তানের অস্ত্রের চেয়েও বেশি শক্তিশালী ছিলো।
শনিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট আয়োজিত মুজিব শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ‘স্থানীয় সরকারে বঙ্গবন্ধুর ভাবনা এবং করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছিলেন ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। ‘তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো’, ‘ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো’ । আর তখন পাকিস্তানের মতো বাঙালির হাতে কামান, বন্দুক, গোলা-বারুদ কোনো অস্ত্রই ছিল না। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আহবান বাঙালির নিকট তাদের সেই অস্ত্রের চেয়েও বেশি শক্তিশালী ছিল।
তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে, স্বাধীনতার প্রতি যাদের ন্যূনতম বিশ্বাস আছে। কেবল তারাই বঙ্গবন্ধুকে, মুক্তিযুদ্ধকে এবং মুক্তিযোদ্ধাদেরকে স্বীকার করেন।
১৯৭১ সালে এদেশের স্বাধীনতা ৩০ লাখ শহীদ এবং দুই লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে। সারা পৃথিবীতে এত বড় রক্তক্ষয়ের মাধ্যমে আর একটিও স্বাধীনতা অর্জিত হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় বিভক্তি মানবজাতির জন্য কখনোই কল্যাণকর কিছু বয়ে আনে না। এদেশের মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সবাই আল্লাহর সৃষ্টি। ইসলামে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির কথা কোথাও বলা নেই। কুরআনে এবং হযরত মুহাম্মদ (স.) কখনোই অন্য ধর্মের উপরে আক্রমন করতে বলেন নাই। অন্য ধর্মের এবং মানুষের প্রতি অবশ্যই সম্মান করতে হবে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
এসময়, ইউনিয়ন মেম্বার ও চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের নৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটলে গ্রামাঞ্চল তথা সারাদেশের উন্নতি ঘটবে জানিয়ে জনপ্রতিনিধিদের নৈতিক আদর্শ গঠনের জন্য কাজ করতে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটকে (এনআইএলজি) নির্দেশ দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনআইএলজির মহাপরিচালক সালেহ মোহাম্মদ মোজাফফর।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রণব কুমার পান্ডে।
সেমিনারে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এর অধীন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিগণ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।/