সর্বশেষঃ
সরকারি অফিসের কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করুন: দুদক কমিশনার সেবাগ্রহীতাদের সমস্যার সমাধান তাড়াতাড়ি করতে হবে : দুদক চেয়ারম্যান আজ ট্রাইব্যুনালের প্রথম মামলায় হাসিনাসহ ৩জনের বিরুদ্ধে রায়ের দিন  নির্ধারণ !  ৭ অঙ্গীকার বাস্তবায়নের ঘোষণায় ২৫ রাজনৈতিক দলের জুলাই সনদে স্বাক্ষর নতুন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক দলিল জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর ২৫ দলের ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষরে অংশ নেয়ার আহ্বান ড.ইউনূসের ছাত্র শিবির  বিজয়ী রাকসুতে ২৩টিতে- ২০, ডাকসুতে ২৮ টিতে- ২৩ , জাকসুতে ২৫টিতে – ২০, চাকসুতে ২৬টিতে – ২৪,  রাকসুতে ভিপি-এজিএস শিবিরের মোস্তাকুর-সালমান, জিএস সাবেক সমন্বয়ক আম্মার আজ রাকসু নির্বাচনে ২৩টি পদে সকাল ৯ টায় ভোট গ্রহণ শুরু লক্ষ্মীপুরে বাস কাউন্টারে সংঘর্ষ,যুবদলের দুই গ্রুপে ২০ জন আহত
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৪৪ অপরাহ্ন

দেশের মর্যাদাকে আরো উচ্চমাত্রায় নিতে শপথ নিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ছবি সংগৃহিত

দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তী উদযাপনের মধ্য দিয়ে দেশের মর্যাদাকে আরো উচ্চমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আজ আমাদের নতুন করে শপথ নিতে হবে। তিনি বলেন,‘আপনারা প্রমাণ করেছেন, বাংলাদেশের মানুষ অনুকূল পরিবেশ পেলে যেকোন অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর ভাষণটি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে এ ভাষণ সম্পপ্রচার করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে এক টেলিভিশন ভাষণে একথা বলেন। তিনি বলেন,‘আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। তবে এই উদযাপন যেন শুধু আনুষ্ঠানিকতা-সর্বস্ব না হয়। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে আমাদের দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার নতুন করে শপথ নিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুবর্ণজয়ন্তীর এই শুভক্ষণে আমাদের শপথ নিতে হবে কেউ যেন বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। দেশের গণতান্ত্রিক এবং উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে না পারে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলি।’

সরকার প্রধান বলেন, আমাদের বিগত ১২ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। গত মাসে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। গড় আয়ু, লিঙ্গ সমতা, সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা, নারী শিক্ষা, নারীর রাজনৈতিক অধিকার, নারী ও শিশু মৃত্যুহার, স্যানিটেশন, খাদ্য প্রাপ্যতা- ইত্যাদি নানা সূচকে বাংলাদেশ শুধু তার প্রতিবেশি দেশগুলোর চেয়ে এগিয়ে যায়নি, অনেক ক্ষেত্রে অনেক উন্নত দেশকেও ছাড়িয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আজকের এই উত্তরণের পথ মোটেই মসৃণ ছিল না। দেশের ভিতরে-বাইরে স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে নানা অপতৎপরতা চালিয়েছে। সে প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত আছে। কাজেই আমাদের সকলকে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে দেশবিরোধী সকল অপতৎপরতা রুখে দাঁড়াতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে ছাত্রছাত্রী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে, শ্রমিক কারখানা ছেড়ে, কৃষক লাঙল ফেলে, কামার, কুমার, জেলে তাঁদের কাজ ফেলে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সশস্ত্র বাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাঙালি সদস্যরা পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে প্রতিরোধ সংগ্রামে সামিল হয়েছিলেন। জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে সকলেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

তিনি বলেন, একবার ভাবুন, আমরা আজ যে স্বাধীন দেশের মাটিতে আজ মুক্ত নিশ্বাস ফেলছি তা অর্জনে কত শত তরুণ অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন? কত মা তাঁদের সন্তান হারিয়েছেন, কত বাবা তাঁদের পুত্র হারিয়েছেন, কত ভাইবোন তাঁদের ভাই হারিয়েছেন, কত স্ত্রী তাঁদের স্বামী হারিয়েছেন, সন্তানেরা বাবা হারিয়েছেন? কতশত মুক্তিযোদ্ধা পঙ্গু হয়ে দুঃসহ জীবনযাপন করছেন?

তাঁদের একটাই প্রত্যাশা ছিল এ দেশ স্বাধীন হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ দেশের মানুষ সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। সকলে মৌলিক অধিকার ভোগ করবে। আজকে আমরা তাঁদের সেই প্রত্যাশা কিছুটা হলেও পূরণ করতে পেরেছি।
শেখ হাসিনা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে কন্ঠ মেলান, ‘আনন্দধ্বনি জাগাও গগনে।/কে আছ জাগিয়া পূরবে চাহিয়া,/বলে ‘উঠ উঠ’ সঘনে গভীর নিদ্রামগনে।/হেরো তিমির রজনী যায় ওই,/ হাসে ঊষা নব জোতির্ময়ী-/নব আনন্দে, নব জীবনে,/ফুল্ল কুসুমে, মধুর পবনে, বিহগ কলকূজনে।/’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫-এ মার্চের রাতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চ লাইটের’ নামে নিরস্ত্র বাঙালির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানায় তৎকালীন ইপিআর হেডকোয়ার্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার ঘনবসতি এলাকাগুলোতে একযোগে হামলা চালায়। হাজার হাজার মানুষকে গুলি করে হত্যা করে। আগুন ধরিয়ে দেয় অসংখ্য ঘরবাড়িতে। দেশের অন্যান্য শহরগুলোতে হাজার হাজার বাঙালিকে হত্যা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের এবং তৎকালীন ইপিআর-এর বীর বাঙালি সদস্যরা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে। আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় এবং পাড়া-মহল্লার অলি-গলিতে বেরিকেড তৈরি করে পাকিস্তানি সৈন্যদের চলাচলে বাধা দেয়। কিন্তু অত্যাধুনিক অস্ত্র, ট্যাংক আর অস্ত্রসজ্জিত যানবাহনের সামনে নিরস্ত্র প্রতিরোধ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। নিরস্ত্র বাঙালির উপর হামলা চালিয়ে নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা। # খবর বাসস।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

[prayer_time pt="on" sc="on"]

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12