দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
চিহ্নিত রাগব বোয়াল, বহুল আলোচিত দুর্নীতি মামলার আসামি কিংবা সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্টের আগের আদেশ স্থগিতের জন্য আবেদন জানিয়েছেন দুদক।
গত ১৬ মার্চ হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়েছিল,দুর্নীতি মামলার আসামি কিংবা সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া দেবে দুদক নয়, সিদ্ধান্ত নেবেন বিশেষ জজ আদালত।
সোমবার (২২ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় দুদকের পক্ষ থেকে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এই আবেদনটি দায়ের করেছেন।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, গত ১৬ মার্চ দুর্নীতি মামলার আসামি বা সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তির বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়ে দুদক নয়, সিদ্ধান্ত নেবেন বিশেষ জজ আদালত এমন নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। যারফলে ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে দুদকের পক্ষ থেকে আপিল বিভাগে এই আবেদন দাখিল করা হয়েছে।
ওই দিন হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়ে দুদকের সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধি নেই। এ কারণে বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়ে যতদিন আইন বা বিধি প্রণয়ন না করা হচ্ছে, ততদিন সংশ্লিষ্ট বিশেষ জজ আদালতের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।
দুদকের আইনজীবী আরো বলেন, বিদেশে যাবার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞার আবেদন কিংবা হস্তক্ষেপ দুদকের কাছে না থাকলে, দুর্নীতি মামলার আসামিদের আটকানো যাবে না। কারণ আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি আবেদেশের কপি বের হবার আগেই সংশ্লিষ্ট অপরাধি কিংবা মামলার আসামিরা বিদেশ পালিয়ে যাবার সুযোগ পাবেন।/
হাইকোর্টের আদেশে আরও বলা হয়েছে, এ বিষয়ে দ্রুত সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। আশা করছি, এ বিষয়ে দুদক বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আইন বা বিধি করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
নরসিংদীর আতাউর রহমান ওরফে সুইডেন আতাউর রহমানের করা এক আবেদনের ওপর শুনানিকালে এ অভিমত দেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে আতাউর রহমানের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুন্সী মনিরুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট একেএম ফজলুল হক।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট আতাউর রহমানের সম্পদের তথ্য চেয়ে নোটিশ দেয়। ওই নোটিশের পর ২২ অক্টোবর তিনি তার সম্পদের তথ্য দুদকে দাখিল করেন। দুদক সম্পদের তথ্য পেয়ে অনুসন্ধানে নামে।
অনুসন্ধানকালে গতবছর ২০ ডিসেম্বর আতাউর রহমানের বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) চিঠি দেয় দুদক। ওই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন আতাউর রহমান।
/