দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
আলোচিত গাজীপুর জেলার কাপাসিয়ায় যুবলীগ নেতা জালালুদ্দিন সরকার হত্যা মামলায় ১১ আসামির মধ্যে ৫জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি সাহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত
ডেথ রেফারেন্স বেঞ্চ আসামিদের করা আপিলের শুনানি নিয়ে এই রায় ঘোষণা করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার রায়ের পর আসামি পক্ষের আইনজীবী ড. শহীদউজ্জামান গণমাধ্যকে জানান, বিচারিক আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা আপিলের শুনানি শেষে আজ এই রায় প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই রায়ে পর আসামিদের সাথে আরোচনা করে আপিল বিভাগেও আবেদন করবেন।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক ফজলে এলাহী ভূইয়া কাপাসিয়া যুবলীগের সভাপতি জালাল হত্যা মামলায় বিএনপির ১১ নেতাকর্মীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা দিয়েছেন।বিচারিক আদালত একইসঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কাপাসিয়া থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, যুবদলের থানা সদস্য জজ মিয়া, থানা ছাত্রদলের সদস্য আল-আমিন, বিএনপি নেতা বেলায়েত হোসেন বেল্টু, থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হালিম ফকির, কাপাসিয়া কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জুয়েল, থানা যুবদলের সদস্য মাহবুবুর রহমান রিপন, থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি আ. আলীম, বিএনপি নেতা আতাউর, ফরহাদ ও জয়নাল।
২০০৩ সালের ১৭ আগস্ট গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার পাবুর বলখেলা বাজারের উত্তর পার্শ্বে থানা যুবলীগ সভাপতি জালাল সরকারকে হত্যার ১২ বছর
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৭ আগস্ট তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকারের আমলে আসামিরা কাপাসিয়া উপজেলার পাবুর গ্রামের বলখেলা বাজারের পাশে জালালকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে। এর একদিন পর জালালের ভাই মিলন সরকার বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাপাসিয়া থানা পুলিশের (ওসি) এ কে এম আব্দুল লতিফ ২০০৪ সালের ২৩ জানুয়ারি ১১ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর এ মামলায় ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। নিম্ন আদালতে মামলার কার্যক্রম শেষে ১১ জনকে সর্বোচ্চ শাস্তি, মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।/