দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, ‘দুর্নীতির মুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করবেন। জনগণের প্রত্যাশা পুরনের চেষ্টা করবেন। অভিযোগের অনুসন্ধান ও মামলার তদন্তে দীর্ঘসূত্রীতা কমাতে চেষ্টা করা হবে।
বুধবার (১০ মার্চ) বেলা ১১ টায় দুদক কার্যালয়ে যোগদানের পর প্রথম দিনের অফিস শেষ দুপুর আড়াইটায় দুদকের মূল ফটকে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে নতুন চেয়ারম্যান এ কথা বলেছেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দুদকে যোগদানকারী নবনিযুক্ত কমিশনার মো. জহুরুল হক।
দুদকের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বলেন,দুর্নীতির সঙ্গে কোনো আপস করব না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনব। কারণ অর্থ পাচার একটা বড় সমস্যা। অর্থপাচার রোধ করা হবে।’
দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, ‘দুদকের সঙ্গে জনগণের যে আস্থার দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, তা কমিয়ে আনা হবে। দুদকের অভ্যন্তরীণ অনিয়ম যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হবে এবং কর্মকর্তা -কর্মচারীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে।’
দুদকের নবনিযুক্ত কমিশনার মো. জহুরুল হক বলেন, ‘আমরা ভয় পাই না। আমরা কোনো আপস করব না। আমরা টাকা ফিরিয়ে আনব।’ তিনি বলেন, ‘আমি অতীতেও যেসব জায়গায় দায়িত্ব পালন করেছি, সেসব জায়গায় অর্থ উদ্ধার করেছি। এই কাজে আমাদের কোনো ভয় নেই।’
দুদকের পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার গণমাধ্যমকে বলেন, দুদকের নতুন চেয়ারম্যান ও কমিশনার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যোগদান শেষে কাজে যোগদান করেছেন। দুদক চত্বরে নতুন চেয়ারম্যান ও কমিশনার একসঙ্গে প্রবেশ করেন। এ সময় চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ কালো রঙের গাড়িতে ও কমিশনার মো. জহুরুল হক একটি সাদা রঙের গাড়িতে আসেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্নীতি দমন কমিশনের ছবিতে দুদকের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ ও কমিশনার জহুরুল হক কাজে যোগ দিয়েছেন।
জানা যায়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহকে দুদকের নতুন চেয়ারম্যান করে ৩ মার্চ আদেশ জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হককে দুদকের কমিশনার নিযুক্ত করা হয়। তারা আজই সকালে কাজে যোগদান করেছেন। মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ দুদক চেয়ারম্যান পদে ইকবাল মাহমুদের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
গত ৩ মার্চ রাষ্ট্রপতির আদেশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ৫(১) ধারার বিধান অনুযায়ী এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।/