দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
নগরীতে কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে অঞ্চল ভিত্তিক সমন্বিত অভিযান (ক্রাশ প্রোগ্রাম) শুরু করেছেন। আর কর্মসূচি শুক্রবার ব্যাতীত আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে জানান মেয়র।
সোমবার (৮ মার্চ) সকাল থেকে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী এ ক্রাশ প্রোগ্রাম। আজ সোমবার মিরপুর-২ অঞ্চলে (অঞ্চল-২) এ অভিযান সম্পন্ন হয়।এই কর্মসূুচতে ডিএনসিসির প্রায় ১ হাজার ৪০০ মশক নিধনকর্মী, পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ মশক নিধনের সাথে যুক্ত সব কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিকল্পিতভাবে একটি অঞ্চলে একদিন করে কাজ করবেন।
ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণও একসাথে এই অভিযানে অংশগ্রহণ করছেন। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা এবং বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
ডিএনসিসি মেয়র সকালে পল্লবীর সাগুফতা খাল, ইনডোর স্টেডিয়াম, মিরপুর সেকশন-৬ ও মিল্কভিটা এলাকা পরিদর্শন করেন। বিকাল ৪টায় তিনি মিরপুর-১৩ নম্বর এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন, “ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলে ৫৪টি ওয়ার্ড আছে। ইতিপূর্বে এই ওয়ার্ডগুলোতে সকালে মশার লার্ভিসাইড এবং বিকেলে এডাল্টিসাইড দেওয়া হতো। কিন্তু আমরা কীটতত্ত্ববিদদের সাথে কথা বলেছি, তাঁদের নির্দেশনা অনুযায়ী টোটাল সিস্টেমটাকে এই প্রথমবারের মতো পরিবর্তন করলাম।
আতিকুল ইসলাম আরো বলেন, আমরা আজ অভিযান শুরু করেছি, দশ দিন পরে একদিন বিরতি দিয়ে আবার আমরা কাজ শুরু করবো। এভাবে দশটা অঞ্চলে দশ দিন কাজ করবো। মশক নিধনের সকল লোকজন , সকল ধরনের ইকুইপমেন্ট ভোর ছয়টায় এখানে নিয়ে এসেছি।
মেয়র বলেন, খাল পরিষ্কার রাখতে হবে। আমরা নগরবাসীকে বলতে চাই, আপনারা মেহেরবানী করে আমরা যখন পরিষ্কার করব, খালের ভেতরে আপনারা কোন ধরনের ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না। খাল যত বেশি প্রবাহমান থাকবে লার্ভা তত কম হবে। লার্ভা কম হওয়ার জন্যই আমি নগরবাসীর সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
মিরপুরের মিল্কভিটা কারখানার অভ্যন্তরে আবর্জনার স্তুপ, ঝোপঝাড় ও কচুরিপানাপূর্ণ জলাশয়ে অসংখ্য মশার লার্ভা দেখে মেয়র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বারবার নোটিশ দেওয়ার পরেও ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ ও দণ্ডবিধি ১৮৬০ অনুযায়ী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নিয়মিত মামলা করা হয়।
অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ২ নম্বর ওয়ার্ডে ৪টি মামলায় ৬১ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সড়ক ও ফুটপাতে অবৈধভাবে মালামাল রাখায় তিনি তা ৫ হাজার ৭৩৮ টাকা স্পট নিলাম করেন।
৭ নম্বর ওয়ার্ডে মশার লার্ভা পাওয়ায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিন ১টি প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে মশার লার্ভা পাওয়ায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবেদ আলী ১টি প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
পরিদর্শনকালে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়েদুর রহমান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেওয়ান আবদুল মান্নান, তাইজুল ইসলাম চৌধুরী, সাজ্জাদ হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।/ প্রেস বিজ্ঞপ্তি