দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
রাজধানীর পল্টনের মুক্তাঙ্গন পার্কের ভেতরে থাকা ‘মুক্তঙ্গন অস্থায়ী নামাজের ঘরটি (মসজিদ) গুড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশন (ডিএসসিসি)। ফলে খোলা স্থানে ওই এলাকার লোকজন জামাতে নামাজ পড়ছেন। কিন্তু ডিএসসিসির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখের কাটা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল মুক্তাঙ্গনের এই অস্থায়ী নামাজের এই ঘরটি।
অথচ গুলিস্তান এলাকায় গোলাপশাহ মাজারের সামনে এবং আশপাশে ফুটপাতের ওপর অনেক ছোট ছোট খাবারের হোটেল, জ্বলন্ত চুলা ও দোকান পাট রয়েছে। ফুটপাতের ওপর এসব খাবার হোটেলের জ্বলন্ত চুলা ও দোকান পাটের কারণে পথচারীদের চলাচলে মারাত্নক অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু সম্পত্তি বিভাগের কমকর্তারা রহস্যজনক কারণে ফুটপাতের ওপর এসব খাবারের হোটেল এবং দোকান পাট উচ্ছেদ করা থেকে বিরত রয়েছেন। তবে মাঝে মধ্য উচ্ছেদ অভিযান চালান বলে জানান ডিএসসিসির কর্মচারীরা।
এদিকে এই সব বিষয়ে মেয়রের মুখপাত্র ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের এই প্রতিনিধিকে বলেন, বৈধ নকশা বহিভুত সব ধরনের স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই অবৈধ স্থাপনার মধ্যে মসজিদ, দোকান পাঠ এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকতে পারে। মুক্তাঙ্গনের ভেতরে নামাজের ঘরটি (মসজিদ) অনুমোদিত বিহীন এবং বৈধ নকশা বিহীন ছিল। এছাড়াও নগরীতে খাল উদ্ধারে অনেক স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ফুটপাতের ওপর খাবার হোটেলের জ্বলন্ত চুলা ও দোকান পাটের কারণে পথচারীদের চলাচলে মারাত্নক অসুবিধা প্রসঙ্গে
জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের বলেন, মাঝে মধ্যে এসব দোকান পাট উচ্ছেদ করা হয়। ওইসব দোকান পাট থেকে চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সুনিদিষ্ট তথ্য প্রমাণ পেলে ডিএসসিসির চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান আহমেদের নেতৃত্বে পরিচালিত এক অভিযানে এই মসজিদ গুঁটিয়ে দেওয়া হয়।
মসজিদের ইমাম আফসার উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, পার্কের মধ্যের এই মসজিদটি ১৯৯৮ সালে স্থাপন করা হয়েছিল। মসজিদে এই এলাকার মানুষ নামাজ আদায় করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ডিএসসিসির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ডিএসসিসির এক অফিস আদেশ এই পার্কের ভেতর থাকা অবৈধ স্থাপনা এবং একটি নামাজের জায়গা (মসজিদ) ভেঙ্গে দেওয়ার নির্দেশনা ছিল। সেই নির্দেশনার আলোকে বৃহস্পতিবার এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। পার্কের ভেতরে থাকা সব অবৈধ বা নকশাবহির্ভূত স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি বুলডোজার দিয়ে ধানমন্ডি লেকের ভেতরে থাকা ‘আর-রহমান জামে মসজিদ’ ভেঙে দিয়েছিল ডিএসসিসি। এছাড়া রাজধানীর আজিমপুর চৌরাস্তা সংলগ্ন আরও একটি ৫০ বছর আগের নির্মিত মসজিদ ভেঙে দেওয়া হয়।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। ৫ ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডিতে প্রতিবাদ সভাও করেছেন ধানমন্ডি ওয়েলফেয়ার সমিতি।/