দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বাসা-বাড়ির বর্জ্য সংগ্রহে টেন্ডারের মাধ্যমে অনুমতি দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন।তবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের নির্দেশে ৭৫টি ওয়ার্ডই টেন্ডারের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিচালিত হচ্ছে বলে জানা যায়। দীর্ঘদিন যাবৎ বিনা টেন্ডারে ঢাকার দুই সিটিতেই স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ন্ত্রণে বাসা বাড়ি থেকে বর্জ সংগ্রহ করা হতো।
এদিকে টেন্ডারে বাসা বাড়ির বর্জ সংগ্রহের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে আগামীকাল ৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে ‘প্রাইমারি ওয়েস্ট কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডার(পিডব্লিউসিএসপি)’।
পিডব্লিউসিএসপির সভাপতি নাহিদ আক্তার লাকী’ অনলাইন নিউজ পোটাল -দূরবীণ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আরো জানিয়েছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১০ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং ঢাকা উত্তর সিটিতে ৯ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী বাসা বাড়ি থেকে বর্জ সংগহের কাজ নিয়োজিত।
তিনি বলেন,কিন্তু টেন্ডারে বাসা বাড়ির বর্জ সংগ্রহের কাজটি দেওয়ার ফলে ইতোমধ্যে ঢাকা দক্ষিণে ১০ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী বেকার হয়েছে। ঢাকা উত্তরেও ৯ হাজার পরিচ্ছন্নকর্মী বেকার হবার আশঙ্খকা দেখা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, গরিব মানুষ দুই বেলা ভাতই খেতে পারে না। তারা টেন্ডারে কীভাবে অংশ নেবে।
পিডব্লিউসিএসপির সভাপতি নাহিদ আক্তার লাকী’ অনলাইন নিউজ পোটাল -দূরবীণ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আরো জানিয়েছেন,
ঢাকা দক্ষিণে টেন্ডারের বর্জ্য অপসারণের কারণে ১০ হাজার কর্মী পথে বসেছে আর ঢাকা উত্তরে টেন্ডার হলে আরো ৯ হাজার কর্মী কাজ হারাবে। তিনি বলেন, তার সংগঠনের এইসব পরিচ্ছন্নতাকর্মী গত ২০ থেকে ৩০ বছর ধরে এসব কর্মী কাজ করছেন।/কাশেম