দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলসহ ৮জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও মানিলন্ডারিং এর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১০ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত। বর্তমানে বহুল আলোচিত মানব পাচারের অভিযোগে কুয়েতের আদালতে ৪ বছরের কারাদন্ড প্রাপ্ত ও কারাবন্দি পাপুল ।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার আল-আমিন হোসেন বাদী হয়ে গত বছর ২২ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় ‘মানিলন্ডারিং’ প্রতিরোধ আইনে এ মামলা করেন।
৮ আসামি হলেন, এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল, পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ সেলিনা ইসলাম, মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান মনির (পাপুলের ব্যক্তিগত কর্মচারী), জেসমিন প্রধান (পাপুলের শ্যালিকা), ওয়াফা ইসলাম (পাপুলের মেয়ে), কাজী বদরুল আলম লিটন (পাপুলের ভাই), গোলাম মোস্তফা (মানবপাচারে সংশ্লিষ্ট জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার)।
আসামি পাপুল ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তদন্ত করে মোট ৩৫৫ কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা জমা থাকায় মানি লন্ডারিং আইনে গত বছর ২২ ডিসেম্বর পল্টন থানায় মামলা করা হয়।
এছাড়া মামলায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে আসামি করা হয়েছে। সেগুলো হলো- জে. ডব্লিউ লীলাবালী ও জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল। জে. ডব্লিউ লীলাবালীর প্রোপ্রাইটর পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর পাপুলের ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন।
এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা মানবপাচারকারী চক্র। তারা বিভিন্ন সময় ৩৮ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৭ টাকা অবৈধভাবে আয় করেছেন। যার সঙ্গে পাপুল ও তার মেয়ের প্রতিষ্ঠান জড়িত।/