দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের জন্য আগামী সপ্তাহে দুই সিটি কর্পোরেশনকে নিয়ে বৈঠ হচ্ছে বলে জানয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে কাওরান বাজারে ঢাকা ওয়াসা ভবনে বুড়িগঙ্গা হলে আয়োজিত সরকারি-বেসরকারি ব্যাংককে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক ‘বিল কালেকশন এওয়ার্ড-২০১৯-২০২০ইং’ প্রদান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন এলজিআরডি মন্ত্রী।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার তাকসিম এ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইবরাহীম।
অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি ৩৭ টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের হাতে ‘বিল কালেকশন এওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, রাজধানীর খালগুলো ঢাকা ওয়াসা থেকে দুই সিটি কর্পোরেশনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করায় ওয়াসার চেয়ে সিটি কর্পোরেশন ভালো করতে পারবে।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, নগরীর পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ঢাকা ওয়াসা থেকে দুই সিটি কর্পোরেশনের নিকট দেওয়ার পর থেকেই মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ইতোমধ্যে কাজ শুরু করছে। তবে আগামী সপ্তাহে দুই সিটি কর্পোরেশনকে নিয়ে মন্ত্রণালয়ে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হবে।
দুই মেয়রের পরিকল্পনা জেনে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও কর্মপরিকল্পনা ঠিক করে দেয়া হবে। ঢাকা শহরের নাগরিক সমস্যা সমাধান করে একটি আধুনিক বাসযোগ্য দৃষ্টিনন্দন শহর করতে যা যা করার দরকার তা করা হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জনগণের ভোটে নির্বাচিত। জনপ্রতিনিধিরাই পারেন জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দুই সিটি কর্পোরেশনের নিকট হস্তান্তর করায় মেয়রদ্বয় নগরবাসীকে এ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আমিনবাজারে বর্জ্যের যে স্তূপ সেখানে আর ময়লা ফেলার সুযোগ নেই এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি রাজধানীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ শুরু করেন।
মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আমিনবাজারে ইন্সিনেরেশন প্লান্ট স্থাপন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে এবং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইন্সিনেরেশন প্লান্টে প্রতিদিন যে পরিমাণ বর্জ্য লাগবে সে পরিমান বর্জ্য সরবরাহ করলে যেখানে সেখানে আর ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকবে না।
এছাড়া সকল সিটি কর্পোরেশন এবং প্রতিটি জেলায় ইন্সিনেরেশন প্লান্ট স্থাপন করা হবে বলেও জানান মোঃ তাজুল ইসলাম।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক ও বর্তমান মেয়রের দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সবার দৃষ্টি ভঙ্গি এক নয়। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্ত একটা সময়ের ব্যবধানে তা ঠিক হয়ে যায়। দুই মেয়রের দ্বন্দ্ব অচিরেই সমাধান হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সকলের অংশগ্রহণ থাকলে যে কোনো সমস্যা সমাধান করা সহজ যার বড় উদাহরণ রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ। নগরবাসীর অংশগ্রহণ ও সচেতনতা এবং সকলের সমন্বিত উদ্যোগে এখন পর্যন্ত মশা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
যদিও আইডিসিআর পূর্বাভাস দিয়েছিল ২০১৯ এর তুলনায় ২০২১সালে তিনগুণ মানুষ আক্রান্ত ও মৃত্যু হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি