শনিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর হাইকোটস্থ কদম ফোয়ারার সামনে আয়োজিত এক মাববন্ধনে উপস্থিত হয়ে সাঈদ খোকন এসব কথা বলেন। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃক ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এ পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।ডিএসসিসির সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন,মেয়র তাপস ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তার নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তরিত করেছেন। মেয়র তাপস ডিএসসিসির শত শত কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লাভ হিসেবে গ্রহণ করেছেন এবং করছেন। এ ধরণের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে মেয়র তাপস সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯, ২য় ভাগের ২য় অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ ৯ (২) (জ) অনুযায়ী মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
সাঈদ খোকন বলেন, তাপস মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলাবাজি করে চলেছেন। আমি তাকে বলবো, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে হলে সর্বপ্রথম নিজেকে দু্নীতিমূক্ত করুণ। তারপর চুনোপুটির দিকে দৃষ্টি দিন।
তিনি আরও বলেন, ফুলবাড়িয়া মার্কেটে সিটি করপোরেশন যে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে, সেটা নিয়ে আমি আগেও বলেছি, এটা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। কারণ মহামান্য আদালত কর্তৃক নিদেশিত হয়ে, ব্যবসায়ীদের বৈধ করণের আবেদন নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আমরা করপোরেশনের বোর্ড সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে আলাচিত মার্কেটগুলোর নকশা সংশোধন ও বকেয়া ভাড়া আদায় সাপেক্ষে বৈধ ব্যবসা পরিচালনার অনুমতি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।
বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ নকশা সংশোধন করে এবং রাজস্ব বিভাগ ৭-৮ বছরের বকেয়া ভাড়া আদায় করে ব্যবসায়ীদের বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার অনুমতি প্রদান করে।
সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন বর্তমান মেয়র তাপস এবং তার প্রশাসনের অবৈধ উচ্ছেদকে অবৈধ আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা আশ্চর্যের সাথে লক্ষ্য করলাম, বিনা নোটিশে দক্ষিণ সিটি অবৈধ উচ্ছেদের মাধ্যমে বুলডোজার দিয়ে এ সমস্ত হাজার হাজার বৈধ দোকান গুড়িয়ে দিলো এবং ফলশ্রুতিতে হাজার হাজার দোকান মালিক ও কর্মচারী স্বপরিবারে পথে বসে গেল। আমি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র হিসেবে এই অবৈধ উচ্ছেদের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এর মাধ্যমে নাগরিকদের জীবন মানের সামগ্রিক উন্নয়ন সাধন করা। যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গিকার। এরই ধারাবাহিকতায় আমি কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করি। ফুলবাড়িয়াসহ গুলিস্থান এলাকার বিভিন্ন দোকানদার ভাইদেরকে বৈধতা দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ দেওয়া ছিলো এই লক্ষ্যে অন্যতম একটি পদক্ষেপ।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন.ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়িদের নেতা অলিউল্লাহ। এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন,ব্যবসায়ি আলা উদ্দিন, ওমর আলী প্রমুখ। মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন শত ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।/