আবুল কাশেম, দূরবীণ নিউজ:
এবার পুরান ঢাকার নীল আকাশ রাঙাতে প্রথমবারের মতো জাকজমক দশ হাজার ঘুড়ি উড়ানোর জন্য’সাকরাইন তথা ঘুড়ি উৎসবের’ আয়োজন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।
আগামী ১৪ জানুয়ারি (৩০ পৌষ) মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপসের নির্দেশে ডিএসসিসির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক স্থায়ী কমিটির উদ্যোগে এই ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এবার প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে,এসো ওড়াই ঘুড়ি, ঐতিহ্য লালন করি” আর এই স্লোগানে প্রথমবারের মতো ওই ঘুড়ি উড়ানো অনুষ্ঠানে একযোগে ডিএসসিসির ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড এবং সংরক্ষিত আসনের আরো ২৫টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে ১০০টি করে মোট দশ হাজার ঘুড়ি সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
১৪ জানুয়ারি দুপুর ২টা থেকে ঘুড়ি উড়ানো উৎসব শুরু হয়ে টানা রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে বলে জানা যায়।
শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের গণমাধ্যকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে ঢাকার ঐতিহ্য ঘুড়ি উড়ানো উৎসব সফল করতে প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে কাউন্সিলরদের দেওয়া ঘুড়িগুলো বিলি করা হবে। নগরবাসী রাজধানীর নির্ধারিত মাঠ কিংবা বাড়ির ছাদে অবস্থান নিয়ে শুন্যে ঘুড়ি উড়াতে পারবেন।
এদিকে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী গণমাধ্যমকে বলেন, সাকরাইন উৎসব (ঘুড়ি উৎসব) পুরান ঢাকার ঐতিহ্যের সুন্দর, সচল, সুশাসিত ও উন্নত ঢাকা গড়ার একটি ব্যাতিক্রম উদ্যোগ।
ডিএসসিসির মেয়র মহোদয় ঘোষণার আলোকে এবার পৌষ সংক্রান্তিতে প্রথমবারের মতো ৭৫টি ওয়ার্ডে সমন্বিতভাবে পৌষ সাকরাইন তথা ঘুড়ি উৎসব আয়োজন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ কার্যক্রমে আমাদের সম্মানিত কাউন্সিলরবৃন্দ ওতপ্রোতভাবেভাবে সম্পৃক্ত থেকে একটি সফল আয়োজনের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছেন। আমরা বিশ্বাস করি, এই আয়োজন পুরান ঢাকার ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও ফিরিয়ে আনতে একটি মাইলফলক হিসেবে ভূমিকা রাখবে।
ডিএসসিসির ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ২৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ গণমাধ্যমকে বলেন, সাকরাইন উৎসব পুরান ঢাকার ঐতিহ্য।
কালের পরিক্রমায় এই ঐতিহ্য পুরান ঢাকার গণ্ডি ছাড়িয়ে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু যান্ত্রিক জীবনের বাস্তবতায় আমরা অনেকেই ভুলতে বসেছি, সাকরাইন উৎসব – আমাদের ঐতিহ্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তিনি বলেন, যারফলে এবার ঢাকার ঐতিহ্য লালন, সংরক্ষণ এবং প্রসারে ডিএসসিসির মেয়র মহোদয় যে রূপরেখা ঘোষণা করেছেন সে ধারাবাহিকতায় আমরা প্রথমবারের মতো এই ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছি।
যদিওবা উৎসবে আমরা কাউন্সিলরদের কাছে ১০০ করে মোট ১০ হাজার ঘুড়ি সরবরাহ করব। পরে ওইঘুড়ি আগ্রহী লোকজনের মাঝে বিতরণ করা হবে, তারপরও কেউ বাদ পড়লে সংশ্লিষ্ট আগ্রহী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ নিজ বাড়ির ছাদ থেকে নিজের ঘুড়ি নিয়ে এই উৎসবে অংশ নিতে পারবেন।/
Thanks