আবুল কাশেম,দূরবীণ নিউজ:
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) শ্রমিক ও কর্মচারী লীগের অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মো. মোফাজ্জল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হাসান তারেকসহ ৩১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ সকাল ১০ টা থেকে দিনভর রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্কের পাশে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয়ের চত্বরে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে।শুধু তাই নয় উপস্থিত নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্খিদের দুপুরে খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে, মুজিব শতবার্ষিকী এবং অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক কমিটি ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক লীগের ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বরকত খান।
ডিএনসিসির শ্রমিক ও কর্মচারী লীগের সভাপতি বজলুল মোহাইমিন বকুলের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ কাজীর পরিচালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কর্মচারীদের সুখ দু:খ,দায়িত্ব- কর্তব্য পালন এবং কর্মচারী বান্ধব মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের নানা প্রশংসা করে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ডিএনসিসির শ্রমিক ও কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রোকন,কার্যকরী সভাপতি মো. হারুন মিয়া, সহ সভাপতি আবদুল খালেক মজুমদার, সহ সভাপতি মো. সাইদুল ইসলাম চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক -মো. ফরহাদ আলী, সহ সাধারণ সম্পাদক- মো. জামাল হোসেন, অর্থ সম্পাদক – মুস্তাফিজুর রহমান , দপ্তর সম্পাদক- মো. শাহজাহান , প্রচার সম্পাদক- মো. আতিকুর রহমান , সমাজ কল্যাণ ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক- এইচ এম নুরুজ্জামান (বাদশা) , শ্রম ও আইন বিষয়ক সম্পাদক- মো. কামরুজ্জামান , মহিলা বিষয়ক সম্পাদক-মোসা. ফরিদা ইয়াসমিন এবং সৈয়দ মাসুদ প্রমুখ।
মো. হারুন মিয়া বলেন, ডিএনসিসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত দাবী ছিল পেনশন এবং যোগ্যতা অনুযায়ী পদোন্নতি প্রদান। সেই সাথে যুক্ত হয়েছে ঝুঁকিভাতাসহ বিভিন্ন বিষয়গুলো।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে গত ২১ ডিসেম্বর মেয়রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ডিএনসিসির বোর্ড সভায় ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তাসহ সবাই এই সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন দেওয়ার বিষয়ে একমত পোষন করেছেন। কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবীগুলো বাস্তবায়নে মেয়রের আন্তরিকতার বিষয়টিও তুলে ধরেন হারুন মিয়া।
তিনি আরো বলেন, এটা শুভ লক্ষণ,বর্তমান মেয়র স্যার কর্মচারী বান্ধন। তিনি ধীরে ধীরে কর্মচারীদের ন্যায় সংগত সব দাবী বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন।
মো. হারুন মিয়া বলেন, ডিএনসিসির বোর্ড সভায় আরো অনুমোদন হয়েছে, কর্মকর্তা- কর্মচারীদের অবসরকালীন লভ্যাংশের টাকা শতকরা ৫শতাংশের স্থলে ১৩ শতাংশ হয়েছে। স্কেলভুক্ত মাষ্টার রোল কর্মচারীদের পূণাঙ্গ স্কেল ভুক্ত করার জন্য ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বীমার টাকা ১ লাখ টাকার স্থলে ২ লাখ টাকা করেছেন।
তিনি বলেন, বাছাই কমিটি-২ এর বিষয়টি নিয়েও কাজ চলছে। ননস্কেলভুক্ত মাষ্টাররোল কর্মচারীদের স্কেলভুক্ত করা বিষয়টি নিয়েও কাজ চলছে।
সহ সভাপতি আবদুল খালেক মজুমদার বলেন, মেয়র মহোদয় আমদের কর্মচারীদের দাবী বাস্তবায়নে আন্তরিক। কিন্তু আমদেরও অনেক দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে। মেয়র স্যারের উন্নয়নমূলক কাজগুলোকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য মাঠে ময়দানে সঠিক দায়িত্বটা পালন করতে হবে। যাতে কোনো ধরনের অভিযোগ মেয়রের কাছে যেতে না পারে। তবে মাঠে ময়দানে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে, কেউ অভিযোগ করার সাহস পাবেন না। আর কেউ মিথ্যে অভিযোগ করেও কোনো ধরনের ক্ষতি করতে পারবে না।
তিনি বলেন, মশার উৎপাতের নগরবাসীর কষ্ট হচ্ছে। মশক কর্মীদেরকে মশার উৎপত্তিস্থল লার্ভিসাইডিং এর কাজটা ঠিকমত করলে মশা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে।
আবদুল খালেক মজুমদার বলেন, মশক নিধন বিভাগের সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত। তা হলে বুঝা যাবে কতজন সুস্থ আর কতজন অসুস্থ্য। এছাড়া বেশিরভাগ মশা মারা মেশিন নষ্ট হয়ে আছে। এসব বিষয়ে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা স্যারের মাধ্যমে মেয়র স্যারকে অবহিত করার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। মশক ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারীদের জন্য ঝুঁকিভাতা চালুর বিষয়ে দাবী জানানো হয়েছে।
আলোচনা অনুষ্টানের পর বিকেলে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন নামকড়া শিল্পীরা। / কাশেম