দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিস্ফোরক জাতীয় প্লাস্টিক ও কেমিক্যাল ব্যবসা পরিচালনা করা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে। আগামী ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পুরান ঢাকা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে রোববার (২০ ডিসেম্বর) ডিএসসিসি’র নেতৃত্বাধীন তিনটি টিম আজ অঞ্চল-৪ এর বিভিন্ন এলাকায় এই জরিপ কাজ শুরু করেছে।
ডিএসসিসির অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হায়দর আলী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক ও প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিনকে প্রধান করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এবং বিস্ফোরক পরিদপ্তরসহ সরকারের আরও বিশেষ তিনটি সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে টিমগুলো গঠন করা হয়েছে।
টিমগুলো ডিএসসিসি এলাকায় কতজন ব্যক্তি, কতটি প্রতিষ্ঠান বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবসা করে, খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীর সংখ্যা, লাইসেন্সের অবস্থা, মজুদাগারের ভৌত অবস্থা এবং সাধারণভাবে কোন ধরণের বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবসা অধিকমাত্রায় হয়ে থাকে তার উপর প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দাখিল করবে।
ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের বলেন,ঢাকা দক্ষিণ সিটির অঞ্চল ৩, ৪ ও ৫ এর আওতাভুক্ত এলাকাসমূহ ঘনবসতিপূর্ণ এবং অঞ্চল-৪ এ সবচেয়ে বেশী বিস্ফোরক ও কেমিক্যাল জাতীয় ব্যবসায়িক কার্যক্রম থাকায় উক্ত অঞ্চলে সর্বপ্রথম জরিপ কাজ পরিচালনা করা হচ্ছ। অঞ্চল-৪ এ জরিপ কাজ শেষ হওয়ার পরে অঞ্চল-৩ ও অঞ্চল-৫ এ এই জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয় পুরান ঢাকায় বিদ্যমান কেমিক্যাল গোডাউন ও প্লাস্টিক কারখানাসমূহ স্থানান্তরে ৩টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ২০২১ সালের জুনের মধ্যে ঢাকার শ্যামপুর ও গাজীপুরের টঙ্গীতে অস্থায়ী গোডাউন নির্মাণে ২টি প্রকল্প এবং ২০২২ সালের জুনের মধ্যে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় “বিসিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক” নির্মাণে আরও একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
শিল্প মন্ত্রণালয় পুরান ঢাকার বিদ্যমান কেমিক্যাল গোডাউন ও প্লাস্টিক কারখানাসমূহ স্থায়ীভাবে স্থানান্তর করতে এ সকল উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। /