দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৫৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম ওরফে সোনা শফিককে আলোচিত গোল্ডেন মনিরের অবৈধ সম্পদ ও প্লট জালিয়াতির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দুদক উপ-পরিচালক সামছুল আলমের নেতৃত্বাধীন একটি দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক কার্যালয়ে হাজির হয়েছেন সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম। তাকে টানা দেড় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দুদক কর্মকর্তারা নাম না প্রকাশের শর্তে গণমাধ্যমকে জানান, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলামের কাছে গোল্ডেন মনিরের অবৈধ সম্পদ অর্জন ও প্লট জালিয়াতির সংক্রান্ত কিছু তথ্য-উপাত্ত চেয়েছে দুদকের অনুসন্ধানী কর্মকর্তা। এজন্য তাকে আরও ৭ দিনের সময় বেধে দেয়া হয়েছে।
এদিকে গোল্ডেন মনির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গত ৯ ডিসেম্বর গণপূর্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বসুকে ঘণ্টাব্যাপী জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
এর আগে ৮ ডিসেম্বর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সিবিএ নেতা আবদুল জলিল ও নিম্নমান সহকারী সিবিএর সাবেক নেতা মো. ওবায়দুল্লাহ হককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
গত ২০ নভেম্বর রাজধানীর মেরুল বাড্ডা থেকে অবৈধ অস্ত্র ও মাদকসহ ব্যবসায়ী মনির হোসেনকে (গোল্ডেন মনির) গ্রেফতার করে র্যাব। গত ২৬ নভেম্বর গোল্ডেন মনির ও তার স্ত্রী রওশন আক্তারের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠায় দুদক।
দুদক পরিচালক আকতার হোসেন আজাদের স্বাক্ষরে পাঠানো নোটিশে তাদের ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়।
এই অনুসন্ধান ছাড়াও ৮ বছর আগে গোল্ডেন মনিরের অবৈধভাবে অর্জিত এক কোটি ৬১ লাখ টাকার সম্পদ তার মা ও স্ত্রীর নামে দেয়ার অভিযোগে আরও একটি মামলা করেছে দুদক।