দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় করোনার পাশাপাশিএডিস মশার জীবানুবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।
এ পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে মোট ১ হাজার ১৩৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত হাসপাতালে ৩৮৪ জন, বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে ৬১৫ জন এবং দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় হাসপাতালে ১৩৫ জন রয়েছেন।
জানা যায়, বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এবং বেসরকারিগুলোর মধ্যে ইবনে সিনা হাসপাতালে।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য তথ্য ইউনিটের (এমআইএস) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী পরিচালক (হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার এবং কন্ট্রোল রুম) ডা. মোহাম্মদ কামরুল কিবরিয়া এসব তথ্য জানান।
তাদের দেওয়া তথ্যমতে, রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (৮৮), ঢাকা শিশু হাসপাতাল (৭৯), বিজিবি হাসপাতাল, পিলখানা (৭৫), ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (৫০) এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল (৪৩ জন)।
আর ধানমন্ডি সেন্ট্রাল হাসপাতালে ৯৯ জন, ইবনে সিনা হাসপাতাল ৬৩ জন, স্কয়ার হাসপাতালে ৫৮ জন, ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল (কাকরাইল), আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিটিতে ৪৪ জন করে।
তবে ইতোমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৪০ জন। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন সর্বমোট ৮৮ জন। তাদের মধ্যে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে ২৭ জন, বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে ৪৫ জন এবং বিভিন্ন বিভাগে ১৬ জন রোগী ভর্তি আছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান,গত জানুয়ারি থেকে চলতি নভেম্বর পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। জানুয়ারিতে ১৯৯ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৪৫ জন, মার্চে ২৭ জন, এপ্রিলে ২৫ জন, মে মাসে ১০ জন, জুনে ২০ জন, জুলাইয়ে ২৩ জন, আগস্টে ৬৮ জন, সেপ্টেম্বরে ৪৭ জন, অক্টোবরে ১৬৩ জন এবং চলতি মাসের ২৯ তারিখ পর্যন্ত ৫০৭ জন রোগী ভর্তি হন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
মশার প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের মশক নিধন কার্যক্রম জোরদারের পাশাপাশি জনসচেতনতা এবং সামাজিকভাবে পরিছন্নতা কর্মসূচি পরিচালনা এখন সময়ের দাবি বলে মনে করেন তারা।#