দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
দুর্নীতি দমন কমিশনের দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন,দুর্নীতি শনাক্তকরণ, অনুসন্ধান , তদন্ত এবং প্রসিকিউশন নিখুঁতভাবে করার কোনো বিকল্প নেই। কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্নীতিপরায়ণদের কাছে-এই বার্তা পৌঁছাতে হবে যে, দুর্নীতি করলে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে। কঠোর শাস্তি পেতে হবে। দুর্নীতিবাজরা বিদেশে পালিয়েও শান্তিতে থাকতে পারবে না। দুদক পিছু ছাড়বে না। এক্ষেত্রে কারো ব্যক্তিগত পরিচয়, সামাজিক, পেশাগত , ধর্মীয় অন্য কোনো পরিচয়ে কাজ হবে না।
রোববার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যম কর্মীদের নানা প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন,সরকারি সেবা খাতে ঘুষ-দুর্নীতির প্রকোপ রয়েছে একথা আমরা কখনও অস্বীকার করি না। তবে ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধে আমরা বহুমাত্রিক ব্যবস্থা নিয়েছি। তৃণমূল পর্যায়ে দুর্নীতি ঘটার আগেই দুদক প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করচ্ছে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন,সরকারি সেবা প্রদান সরকারি কর্মচারীদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। তবে কতিপয় অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী এ দায়িত্ব পালনের নামে- ঘুষের মতো ফৌজদারি অপরাধের সঙ্গে জড়িত হচ্ছেন। এদেশে ঘুষ খোর ও দুর্নীতিবাজদের পরিণতি সুখকর হবে না। তিনি বলেন,আজ হোক কাল হোক তাদেরকে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে। জনগণ দুর্নীতিপরায়ণদের প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রদর্শন করে।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) ‘গ্লোবাল করাপশন ব্যারোমিটার এশিয়া ২০২০’ শীর্ষক প্রতিবেদেন বলা হয়েছে “ বাংলাদেশের ৮৬ শতাংশ মানুষ দুদকের প্রতি তাদের আস্থা ব্যক্ত করেছেন”।
তিনি বলেন, দুদক এ জাতীয় প্রতিবেদন সবসময়ই গুরত্বের সাথে পর্যালোচনা করে থাকে। এখন পর্যন্ত প্রতিবেদনটি দুদকের পক্ষ থেকে পূর্ণাঙ্গভাবে পর্যালোচনা করা হয়নি।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেই আমরা এ বিষয়চি জেনেছি। দেশের ৮৬ শতাংশ মানুষ দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আস্থা ব্যক্ত করেছেন। দুদক চেয়ারশ্যান (আমি) মনে করি, জনগণের প্রতি দুদকের দায়িত্ব আরো বাড়ল। তাদের এই আস্থাকে টেকসই করতে হবে।
তিনি বলেন, বিগত পাঁচ বছরে ফাঁদ মামলার মাধ্যমে অসংখ্য ঘুষখোরকে ঘুষের টাকাসহ হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের কারো কারো বিচারিক আদালতে সাজাও হচ্ছে। গণশুনানির মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের কণ্ঠকে উচ্চকিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গণশুনানির মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের অসংখ্য সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটা সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। #