দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ হাজার ৫৪৪ জন। এছাড়া করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে আরো ২ হাজার ২৭২ জনের দেহে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলো ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৭১১ জন করোনা রোগী।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংস্থার অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ দিন সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২২৩ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৬৭৬ জন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) দেশে আরো ২ হাজার ২৯২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে মারা যান আরো ৩৭ জন।
‘থ্যাংকস গিভিং ডে’-তে করোনায় আক্রান্ত ৯০ হাজার আমেরিকান হাসপাতালে ভর্তি
ঢাকা, ২৭ নভেম্বর (ইউএনবি)- ঐতিহাসিক ‘থ্যাংকস গিভিং ডে’-তে বৃহস্পতিবার করোনায় আক্রান্ত প্রায় ৯০ হাজার আমেরিকান হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।যা গত ১৬ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ।
‘থ্যাংকস গিভিং ডে’ এর আগের দিন বুধবার দেশটিতে করোনায় ২ হাজার ২৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৭ মে’র পর যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটি।
প্রসঙ্গত, প্রত্যেক বছরের নভেম্বর মাসের ৪র্থ বৃহস্পতিবার আমেরিকায় এবং অক্টোবারের ২য় সোমবার কানাডায় ‘থ্যাংকস গিভিং ডে’ পালন করা হয়। থ্যাংকস গিভিং ডে-কে অনেকে আবার দ্য টার্কি ডেও বলে থাকে। ঐতিহাসিকভাবে থ্যাংকস গিভিং ডে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক একটা অনুষ্টান।
থ্যাংকস গিভিং ডে’র মূল উদ্দেশ্য, পরিবার, প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধবসহ সবাই একত্রিত হয়ে সবার জীবনের প্রতিটি সাফল্যের জন্য দেশ ও জাতির সাফল্যের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান। খাবারের তালিকায় থাকে টার্কি রোস্ট, ক্র্যানবেরি সস, মিষ্টি আলুর ক্যান্ডি, স্টাফিং, ম্যাশড পটেটো এবং ঐতিহ্যবাহী পামকিন পাই। টার্কি ময়ূরর মতো বড় সাইজের বনমোরগ।
ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে, আগামী চার সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা নতুন করে বেড়ে যেতে পারে।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) তথ্য অনুসারে, করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ১ কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৮৬১ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ২ লাখ ৬৩ হাজার ৪১৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত প্রায় ৯২ লাখ ৬৭ হাজার মানুষ এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ২২৩ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী প্রায় ৬১ লাখ ৬৭ হাজার এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৬৯ জনের।
জেএইচইউ) থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৮৯ জনে।
এছাড়া, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৮ লাখ ৬৮ হাজার ৯৬৫ জনে। সেই সাথে এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৯০ লাখ ৩৯৫ ব্যক্তি।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। # সূত্র : ইউএনবি