আবুল কাশেম, দূরবীণ নিউজ:
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) অভিজ্ঞতা সম্পন্ন, দক্ষ,সাহসী,পরিশ্রমী কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মারাত্নক সংকটে পড়েছে । ইতোমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে রাজস্ব বিভাগে প্রয়োজনীয় জনবলের অভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে প্রয়োজনীয় জনবলের তিন ভাগের এক ভাগ জনবল নিয়ে খুড়িঁয়ে খুঁড়িয়ে চলছে রাজস্ব বিভাগের কার্যক্রম। এ পরিস্থিতিতে দ্রুত চুক্তিভিত্তিক অভিজ্ঞ, দক্ষ, সাহসী ও পরিশ্রমী জনবল নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। আরএ মহাসংকট থেকে উত্তরণের জন্য চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগের বিকল্প নেই বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রাণঘাতি করোনা পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই স্বল্প জনবলকে কাজে লাগিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের চেষ্টায় চালিয়ে যাচ্ছেন রাজস্ব বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বিশেষ করে, হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেডলাইসেন্স শাখায় নগরবাসীকে দ্রুত সেবা প্রদানে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদেরকে। কারণ ডিএনসিসির মেয়র ও প্রশাসনের নির্দেশনার আলোকে রাজস্ব আদায়ের টার্গেট পুরনের জন্য আপ্রাণ চেষ্টায় রয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ সিটি করপোরেশনে বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগ বন্ধ থাকায় জনবলের ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। একদিকে জনবল নিয়োগ হচ্ছেন না, অপরদিকে চাকরির বিধি মোতাবেক ৫৯ বছর বয়সে বাধ্যতামূলক অবসরে যাচ্ছেন ‘টপ টু বটম’ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ফলে ডিএনসিসির রাজস্ব বিভাগের দক্ষ জনবলের সংকট দিন দিন বেড়েই চলছে।
বিশেষ করে- লাইসেন্স সুপারভাইজার, রেভিনিউজ সুপারভাইজার, উপ কর কর্মকর্তা, কর কর্মকর্তা, রাজস্ব কর্মকর্তা, উপ প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদের অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তারা একে একে চাকরি থেকে বিদায় নিচ্ছেন।কিন্তু তাদের শূণ্যতা আর পূরণ হচ্ছে না।
এভাবে প্রতিবছর ঢাকা উত্তর সিটিতে রাজস্ব বিভাগের অভিজ্ঞ, দক্ষ, সুস্থ ও মাঠ ময়দানে দাবরিয়ে বেড়ানোর এবং সাহসী কর্মকর্তারা আজ নিরবে চাকরি থেকে বিদায় নিচ্ছেন। তবে তারা রেখে যাচ্ছেন তাদের কাজের তিক্ত অভিজ্ঞতার নানা স্মৃতি।
ডিএনসিসির পুরনো ৫টি অঞ্চলের চিত্র:
বর্তমানে ডিএনসিসিতে করোনার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে পুরনো ৫টি অঞ্চলের রাজস্ব বিভাগের কার্যক্রম চলছে। এতে নগরবাসীর কাছ থেকে রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। কিন্তু সিটি করপোরেশনের অর্গ্রানোগ্রাম অনুযায়ী তিন ভাগের একভাগ কম জনবল নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে এ বিভাগটি। এখানেই শেষ নয়, পুরাতন ৫টি অঞ্চলের সাথে যুক্ত হয়েছে আরো বিশাল এলাকা নিয়ে গঠিত নতুন ৫টি অঞ্চল। ইতোমধ্যে ওই নতুন ৫টি অঞ্চলে সীমিত আকারে শুধুমাত্র ব্যবসায়িদের ট্রেডলাইন্স ইস্যু এবং নবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও ওই ৫টি নতুন অঞ্চলে সরেজমিন জরীপ করে হোল্ডিং ট্যাক্স ধার্য করা, হোল্ডিং নম্বর দেওয়া এবং ট্যাক্স হোল্ডারদের নামে দ্রুত চিঠিপত্র ইস্যু ও বিতরণের কাজে প্রয়োজনীয় জনবল নেই বলে জানান সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
অথচ ইতোমধ্যে মেয়রের নেতৃত্বে সিটি করপোরেশনের বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত এবং নির্দেশনার আলোকে মাঠে ময়দানে কাজ শুরুর তাগদ আসছে। পুরনো ও বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সুস্থ, পরিশ্রমী ও উদ্যোগী কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় নতুনরা ধাপে ধাপে এসব কাজ গুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করলে অনেকটা সফল হতে পারেন। কিন্তু সম্পূর্ণ নতুন জনবল দিয়ে এসব টেকনিকেল কাজ সহজে বাস্তবায়ন হয় না।
করোনাকালেও ডিএনসিসির ৫টি আঞ্চলে রাজস্ব আদায়ের সফলতা:
বর্তমান করোনাকালেও ডিএনসিসির ৫টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে স্বল্প জনবল নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। উল্লেখযোগ্য হলো, উত্তরা, মহাখালী, কাওরান বাজার ও মিরপুরে অবস্থিত ৫টি আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অবশ্যই ধন্যবাদ পাবার যোগ্য।
রাজস্ব আদায়ে মেয়রের পক্ষ থেকে বেধে দেওয়া টার্গেট বাস্তবায়নে সফলতার তালিকায় রয়েছেন অঞ্চল-১ উত্তরায় কর্মরত কর কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী ও তার অধিনস্থ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা, অঞ্চল-৩ মহাখালীতে ভারপ্রাপ্ত কর কর্মকর্তা মো. তসলিম উদ্দিন ও তার অধিনস্থ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এবং অঞ্চল-৫ কাওরান বাজারে ভারপ্রাপ্ত কর কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম দেওয়ান তার অধিনস্থ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। অনুরুপভাবে মিরপুরের দুইটি আঞ্চলিক অফিসেও রাজস্ব আদায়ে বেশ সফলতা রয়েছে। আর রাজস্ব বিভাগের সার্বিক কার্যক্রম নিয়মিত তদারকি এবং কার্যক্রমে উৎসাহিত করেছেন রাজস্ব বিভাগের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা। যারফলেই এ সফলতা এসেছে বলে মনে করেন সাধারণ কর্মচারীরা।
রাজস্ব আদায়ের চিত্র:
চলতি অর্থ বছরে গত ১ জুলাই থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ৫টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে হোল্ডিং ট্যাক্স খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ১৬৩ কোটি টাকা। আর ট্রেড লাইসেন্স খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে নতুন ও পুরান মিলে ১০টি আঞ্চলিক কার্যায়ে প্রায় ৪৯ কোটি ১৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। ডিএনসিসিতে ৪৩টি মার্কেটের মধ্যে ৩৬টি মার্কেটে রাজস্ব আদায় হচ্ছে। গত ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪০ লাখ ৯ হাজার ৫৩৫ টাকা।
অঞ্চল-১ উত্তরায় হোল্ডিং ট্যাক্স খাতে রাজস্ব আদায় ২৪ কোটি ৪১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা, ট্রেড লাইসেন্স খাতে (অঞ্চল-১,৬,৭ ও ৮) কার্যালয়ে আদায় ৮ কোটি ২৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা।
অঞ্চল-২ মিরপুর (আংশিক ) কার্যালয়ে হোল্ডিং ট্যাক্স খাতে রাজস্ব আদায় ১৪ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, ট্রেড লাইসেন্স খাতে আদায় ৫ কোটি ৬৪ হাজার টাকা।
অঞ্চল-৩ মহাখালী কার্যালয়ে হোল্ডিং ট্যাক্স খাতে রাজস্ব আদায় ৭০ কোটি ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা, ট্রেড লাইসেন্স খাতে আদায় (অঞ্চল-২ ও ৯) ১৪ কোটি ৬৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫৯০ টাকা।
অঞ্চল-৪ মিরপুর আংশিক হোল্ডিং ট্যাক্স খাতে রাজস্ব আদায় ১৮ কোটি ৪৬ লাখ ৯১ হাজার টাকা, আর ট্রেডলাইসেন্স খাতে আদায় ৮ কোটি ৯৭ লাখ ৭৪ হাজার ১৫৭ টাকা।
অঞ্চল-৫ কাওরান বাজার কার্যলয়ে হোল্ডিং ট্যাক্স খাতে রাজস্ব আদায় ৩৫ কোটি ৪৫ লাখ ১১ হাজার টাকা, ট্রেড লাইসেন্স খাতে (অঞ্চল-৫ ও ১০) রাজস্ব আদায় ১২ কোটি ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ১০৬ টাকা।
এদিকে নাম না প্রকাশের শর্তে ডিএনসিসির সাধারণ কর্মচারীরা বলেন, নগরবাসীর সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি ডিএনসিসিতে উন্নয়ন মূলক কাজে নিজস্ব অর্থের যোগাদন বাড়াতে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির কার্যক্রম চলমান রাখা প্রয়োজনীয়। সেই সাথে অভিজ্ঞ,দক্ষ, পরিক্ষিত ও পরিশ্রমী কর্মকর্তাদের মূল্যায়ণের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। যদি সত্যিকার ভাবে অভিজ্ঞ সত পরিশ্রমী কর্মকর্তা- কর্মচারী মূল্যায়ন করা হয়,তাহলে এ সংস্থার কার্যক্রমে আরো গতি বাড়বে।
ডিএনসিসিতে প্রবীনদের সহযোগীতায় ও নবীন মেধাবী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সক্ষমতা বাড়বে। কিন্তু সে সুযোগটা দিনদিন কমে যাচ্ছে। নতুন ৫টি অঞ্চলে হোল্ডিং ধার্যকরণ সংক্রান্ত অনেক জটিল ও কেটনিকেল কার্যক্রম শুরু করতে হচ্ছে। আর এসব বিষয়ে নিজস্ব অভিজ্ঞ, দক্ষ এবং পরিশ্রমী কর্মকর্তাদের বড়ই প্রয়োজন। কিন্তু সেই অভিজ্ঞ, দক্ষ এবং পরিশ্রমী জনবল তো ডিএনসিসিতে নেই।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ:
সাধারণ কর্মচারীরা আরো বলেন, ইতিপূর্বে অভিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) তৎকালীন মেয়র সাদেক হোসেন খোকা রাজস্ব বিভাগের ঊর্ধতন কর্মকর্তাকে চাকরির মেয়াদ শেষে অবসরকালে ধরে রাখার নজির স্থাপন করে গেছেন। মেয়র খোকা সিটি করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগের স্বার্থে ওই সংস্থার বোর্ড সভায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়ে অনুমোদন নিয়েছেন। পরে মেয়র নিজে প্রধানমন্ত্রী ও এলজিআরডি মন্ত্রীর দপ্তর পর্যন্ত তদবির করেছেন। ওই সময় মেয়র খোকা বলে ছিলেন, রাজস্ব বিভগের যাবতীয় কার্যক্রমের স্বার্থে ” সৎ,দক্ষ,অভিজ্ঞ, পরিশ্রমী কর্মকর্তা শাখাওয়াতুল্লাহকে প্রয়োজন রয়েছে। পরে সরকার মেয়রের আবেদনের প্রেক্ষিতে রাজস্ব বিভাগে শাখাওয়াতুল্লাহকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছিলেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকেন অতিরিক্ত প্রধান বর্জ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা খোন্দকার মিল্লাতুল ইসলামকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের নজির স্থাপন করেছেন। তিনিও ডিএসসিসির বোর্ড সভায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রস্তাবটি অনুমোদন নিয়ে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ে ‘ অতিরিক্ত প্রধান বর্জ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা খোন্দকার মিল্লাতুল ইসলামকে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগের আবেদন জানান।
মেয়রের আবেদনরে প্রেক্ষিতে এলজিআরডি মন্ত্রণালয় পর পর দুই বার খোন্দকার মিল্লাতুল ইসলামকে চুক্তি ভিক্তিক নিয়োগ দিয়েছেন বলে জানা যায়। আরো উল্লেখ্য যে, দ্বিতীয় দফায় চুক্তি ভিক্তিক নিয়োগের আদেশে বলা হয়েছিল ‘ পরবর্তী আদেশ জারি না করা পর্যন্ত এই নিয়োগ কার্যকর থাকবে’। অথাৎ তিনি যতদিন চাইবেন ততদিন চাকরিতে থাকবেন।
তবে গত ২৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার ২০২০ সাল) দিবাগত রাতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যূ বরন করেন খোন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম। ওই দিনও তিনি প্রতিদিনের মতো অফিস করেছেন বলে যানা যায়। এ প্ররিশ্রমী ও দক্ষ কর্মকর্তার মৃত্যুতে ঢাকা দক্ষিনই নয়, ঢাকা উত্তরের অনেক -কর্মকর্তা কর্মচারী কেঁদেছেন। তিনি রেখে গেছেন অনেক স্মৃতি।
জানা যায়, এছাড়া সরকারি আরো অনেক স্বায়ত্ব শাসিত, প্রতিষ্ঠান, করপোরেশন ও সংস্থায় বোর্ড সভার অনুমোদন সাপেক্ষ সরকারের পক্ষ থেকে অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের অবসরকালীন সময়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের নজির রয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা ওয়াসা ও রেলওয়ে অন্যতম।
মেয়র অতিকের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের উদ্যোগ:
এদিকে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম গত ৯ সেপ্টেম্বর রাজস্ব বিভাগের যাবতীয় কার্যক্রমের পরিচালনার স্বার্থে ” দক্ষ,অভিজ্ঞ,পরিশ্রমী সততার গুনাবলী সম্পন্ন কর কর্মকর্তা মো.লিয়াকত আলী মিয়া এবং উপ প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মহসীন আলীকে অবসরকালী সময়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য পৃথক ভাবে এলডিআডি মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানিয়েছেন। এর আগে মেয়র আতিকুল ইসলাম ডিএনসিসির বোর্ড সভায় এ বিষয়ে অনুরোমন নিয়েছেন।
তবে ইতোমধ্যে কর কর্মকর্তা মো.লিয়াকত আলী মিয়া গত ২৭ অক্টোবর অবসরে চলে গেছেন। আর আগামী ৩১ ডিসেম্বর উপ প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মহসীন আলীর অবসরে যাবার কথা রয়েছে।
এদিকে ডিএনসিসির কতিপয় দুর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তা ও কর্মচারী মেয়র আতিকুল ইসলামের উদ্যোগটিকে বাধাগ্রস্ত ও বির্তকিত করার জন্য নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা নানা ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন। কিন্ত সম্প্রতি ওই দুর্নীতিপরানয় কর্মচারীদের একটি সিন্ডিকেট আবার মাথাচড়া দিয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মেয়রের একান্ত নিজস্ব পর্যবেক্ষণ টিমের সদস্যরা ডিএনসিসিতে বিভিন্ন দপ্তরে ঘাপটিমেরে থাকা দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছেন। অতীতেও এই চক্রটি জনবল নিয়োগ, পদায়ন ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি, ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে অনেক সম্পদের মালিক হয়েছেন। এবার তাদের নানা অপকর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ শুরু করেছেন মেয়রের পর্যবেক্ষণ টিমের সদস্যরা । ফলে যে কোনো সময় তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যেতে পারেন মেয়র এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ফলে এ বিষয়টি নিয়েও ডিএনসিসিতে নানা গুঞ্জন চলছে।
প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা:
ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আবদুল হামিদ মিয়া “অনলাইন নিউজ পোর্টাল দূরবীণ নিউজ টোয়েন্টিফোরকে বলেন, আমাদের প্রয়োজনীয় জনবল নেই এটা সত্য। আমাদের এই স্বল্প জনবল নিয়েই রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত কাজ চালিয়ে যেতে হবে। করোনাকালেও আমাদের লোকজন রাজস্ব আদায়ে আপ্রণা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পুরনো অঞ্চলগুলোর পাশাপাশি নতুন অঞ্চলওে কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, যাই হোউক স্বল্প জনবল দিয়েই আমদেরেকে ‘বাই রুটেশন ‘কাজ চালিয়ে যেতে হবে। অভিজ্ঞ লোকজনের অভাবে পড়েছে ডিএনসিসির রাজস্ব বিভাগ। ফলে আমাদের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এটাও ঠিক।
প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা বলেন, মেয়র মহোদয় আমাদের অভিজ্ঞ দক্ষ জনবলকে ধরে রাখার জন্য একটা ভাল উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। রাজস্ব বিভাগের কার্যক্রম স্বচল রাখার জন্য এটা ভাল উদ্যোগ। কারণ অভিজ্ঞ লোকজনের পদ শূন্যে নেমে আসছে। ফলে এই শূন্যতা পুরনের জন্য অভিজ্ঞদের ধরে রাখা নিশ্চয় ভাল উদ্যোগ।
তিনি আরো বলেন, মেয়রের এ উদ্যোগটাকে যারা বিতর্কিত করা চেষ্টা করছেন, তারা কাজটা ভাল করছেন না। যদিও এটা তাদের নিজস্ব বিষয়।
তিনি বলেন,পুরনোদের রাখার বিরোধীতা করে কেউ কেউ মিডিয়ায় নেগেঠিভ নিউজ করার চেষ্টা করছেন। তবে এ ধরনের নেগেটিভ প্রচারণা চাললেই কি মেয়রের মহতী উদ্যোগটি থেমে যাবে,এমনটা হতে পারে না। আমি নিজেও চাই , আমদের পুরনো অভিজ্ঞ ও দক্ষ লোকজন থাকুক। # কাশেম