দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
শ্যামপুর খালের সীমানা নির্ধারণ এবং উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। রোববার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে এ সংস্থার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান শ্যামপুর খালের সীমানা নির্ধারণ করেন।
একই সাথে খালের সীমানার মধ্যে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেন। অভিযানকালে তিনি আটটি অস্থায়ী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন এবং বিশটি স্থায়ী স্থাপনা চিহ্নিত করেন যা পরবর্তীতে উচ্ছেদ করা হবে।
ডিএসএসসি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, শ্যামপুর খালটির অধিকাংশই বেদখল হয়ে যাওয়ার কারণে এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক এই খালের সীমানা নির্ধারণ এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
শ্যামপুর খালের সীমানা নির্ধারণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মোঃ বদরুল আমিন বলেন, ডিএসসিসির মেয়র মহোদয় খাল ও জলাশয় পুনরুদ্ধারের জন্য যে প্রকল্প গ্রহণ করছেন, সেই প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যায়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদেরকে শ্যামপুর, জিরানী, মান্ডা ও কালু নগর খালে পরিষ্কার-পরিছন্নতা এবং বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করতে বলেছেন।
সেই আলোকে আমরা শ্যামপুর খালে গত ৬ নভেম্বর হতে বর্জ্য অপসারণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেখানে সীমানা নির্ধারণ, উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সীমানা নির্ধারণ, উচ্ছেদ এবং বর্জ্য অপসারণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এদিকে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে আজ নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কাজী ফয়সালের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত অঞ্চল-১ এর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় তিনি ৩৬টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলা দায়ের ও নগদ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কাজী ফয়সাল দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ নং ধারা অনুযায়ী উক্ত জরিমানা আদায় করেন। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি।