সর্বশেষঃ
সরকারি অফিসের কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করুন: দুদক কমিশনার সেবাগ্রহীতাদের সমস্যার সমাধান তাড়াতাড়ি করতে হবে : দুদক চেয়ারম্যান আজ ট্রাইব্যুনালের প্রথম মামলায় হাসিনাসহ ৩জনের বিরুদ্ধে রায়ের দিন  নির্ধারণ !  ৭ অঙ্গীকার বাস্তবায়নের ঘোষণায় ২৫ রাজনৈতিক দলের জুলাই সনদে স্বাক্ষর নতুন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক দলিল জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর ২৫ দলের ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষরে অংশ নেয়ার আহ্বান ড.ইউনূসের ছাত্র শিবির  বিজয়ী রাকসুতে ২৩টিতে- ২০, ডাকসুতে ২৮ টিতে- ২৩ , জাকসুতে ২৫টিতে – ২০, চাকসুতে ২৬টিতে – ২৪,  রাকসুতে ভিপি-এজিএস শিবিরের মোস্তাকুর-সালমান, জিএস সাবেক সমন্বয়ক আম্মার আজ রাকসু নির্বাচনে ২৩টি পদে সকাল ৯ টায় ভোট গ্রহণ শুরু লক্ষ্মীপুরে বাস কাউন্টারে সংঘর্ষ,যুবদলের দুই গ্রুপে ২০ জন আহত
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন

রাজধানীতে এএসপিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
রাজধানীর একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিমকে হাসপাতালের কর্মচারীরা পিটিয়ে হত্যার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত সোমবার সকালে আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। পরিবারের অভিযোগ হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।

হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও বলছে একই কথা। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হাসপাতালের ব্যবস্থাপকসহ ছয়জনকে আটক করেছে।

আনিসুল করিমের ভাই রেজাউল করিম জানান, আনিসুল পারিবারিক ঝামেলার কারণে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। গত সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তাকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর আমরা ভর্তির ফরম পূরণ করছিলাম।

ওই সময় কাউন্টার থেকে হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী তাকে দোতলায় নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা জানান যে আনিসুল অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। তাকে দ্রুত হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগজনিত সমস্যা থাকলেও তা তেমন প্রকট ছিল না। হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পিটুনিতে তার মৃত্যু হয়েছে।’

এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করলে তারা ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। ওই সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

জানা গেছে, ওই হাসপাতাল থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে তা যাচাই করেছে পুলিশ। ওই ফুটেজের বর্ণনা দিয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিমকে সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে টানাহেঁচড়া করে হাসপাতালের একটি কক্ষে ঢোকানো হয়।

এ সময় হাসপাতালের ছয়জন কর্মচারী মিলে তাকে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেন। তখন নীল পোশাক পরা আরো দুজন কর্মচারী তার পা চেপে ধরেন। আর মাথার দিকে থাকা দুজন কর্মচারীকে হাতের কনুই দিয়ে তাকে আঘাত করতে দেখা যায়। একটি নীল কাপড়ের টুকরা দিয়ে আনিসুলের হাত পেছনে বাঁধা ছিল।

হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ তখন পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এর চার মিনিট পর আনিসুলকে যখন উপুড় করা হয় তখন তার শরীর নিস্তেজ ছিল। একজন কর্মচারী তখন তার মুখে পানি ছিটালেও আনিসুল নড়াচড়া করছিলেন না।

তখন কর্মচারীরা কক্ষের মেঝে পরিষ্কার করেন। সাত মিনিট পর সাদা অ্যাপ্রন পরা এক নারী কক্ষটিতে প্রবেশ করেন। ১১ মিনিটের মাথায় কক্ষটির দরজা লাগিয়ে দেয়া হয়। ১৩ মিনিটের মাথায় তার বুকে পাম্প করেন সাদা অ্যাপ্রন পরা ওই নারী।

শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম মিয়া বলেন, হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে ঘটনার তদন্ত চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসপাতালের ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। আনিসুলের লাশ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।

হাসপাতালের সমন্বয়ক ইমরান খান জানান, জাতীয় মানসিক ইনস্টিটিউট থেকে আনিসুলকে তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। ভর্তির পরপর তিনি উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করছিলেন। যাকে-তাকে মারধর করছিলেন। শান্ত করার জন্য তাকে একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই সময় তিনি হাসপাতালে ছিলেন না।#


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

[prayer_time pt="on" sc="on"]

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12