সর্বশেষঃ
শেখ হাসিনার বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাগর-রুনির সন্তানকে রাজউকের পূর্বাচলের প্লটের দলিল হস্তান্তর সাবেক কর পরিদর্শক বারী ও স্ত্রীর অবৈধ সম্পদ, দুদকের মামলা বিশ্ব মশা দিবসের র‍্যালি ও আলোচনা সভা, ডিএনসিসিতে আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানোর মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু মেয়ের জন্য খাবার খুঁজতে গিয়ে ইসরায়েলি গুলিতে প্রাণ গেল ফিলিস্তিনি বাস্কেটবল তারকার ডিসি–এসপি পাথর লুটের টাকার ভাগ পেতেন, জড়িত আছে আরো ৪২ নেতা ও ব্যবসায়ী বিচারক ফ্র্যাঙ্ক ক্যাপ্রিও আর নেই ঢাকা ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, পুলিশসহ কয়েকজন আহত ফ্ল্যাট কিনে বিপাকে জনপ্রিয় তারকারা
শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ১২:১১ পূর্বাহ্ন

বঙ্গবন্ধু কখনো বিরোধী দলের নেতাদের কটাক্ষ করতেন না: রাষ্ট্রপতি

দূরবীণ নিউজ ডেস্ক:
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জলে-স্থলে-আকাশে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করতে চেয়েছিলেন বলেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন,বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়তে চেয়েছিলেন। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই আরাধ্য কাজ সম্পন্ন করছেন।’

তিনি বলেন, বিরোধী দলের প্রতি বঙ্গবন্ধুর আলাদা একটা মনোযোগ ছিল। রাজনৈতিক মতাদর্শের যত অমিলই থাকুক না কেন, বঙ্গবন্ধু কখনো বিরোধী দলের নেতাদের কটাক্ষ করে কিছু বলতেন না, বরং তাদেরকে যথাযথ সম্মান দিয়ে কথা বলতেন। রাজনৈতিক শিষ্টাচার তার একটি বৈশিষ্ট্য ছিল।’

সোমবার (৯ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধুর কর্মজীবনের ওপর আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সংসদ পরিচালনার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু ছিলেন খুবই আন্তরিক। তিনি কার্যপ্রণালী বিধি মেনে আলোচনা করতেন এবং অন্যরাও যাতে তা মেনে চলেন, সেজন‌্য শক্ত হাতে হাউজ চালানোর ব্যাপারে স্পিকারকে অনুরোধ জানাতেন।’

তিনি বলেন, ‘পার্লামেন্টে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে স্পিকার বিব্রত হতেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হতেন না। উদার না হলে, গণতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন না হলে, এটা ভাবাই যেত না। ১৯৭৩ সালে পার্লামেন্টে আতাউর রহমান খান, এমএন লারমাসহ বিরোধী দলের কয়েকজন এমপি ছিলেন। তখনও দেখেছি, তারা কথা বলতে চাইলেই সুযোগ পেতেন। প্রায় সময়ই বঙ্গবন্ধু স্পিকারকে বলে সে সুযোগ করে দিতেন।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত, দুর্নীতি ও শোষণহীন সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ। জাতির পিতার দর্শন ছিল—বাংলার মানুষের মুক্তি। সেই মুক্তি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি। তিনি কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠামো উন্নয়নে ভবিষ্যত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন।

পরিকল্পিত উন্নয়নের ওপর ভিত্তি করে বঙ্গবন্ধু আধুনিক রাষ্ট্রের রূপরেখা প্রণয়ন করেছিলেন, যা দেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (১৯৭৩-১৯৭৮) প্রতিফলিত হয়েছিল। তার সুযোগ্য উত্তরাধিকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০১৫ সালে এমডিজির অধিকাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে।’

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘অল্প সময়ে ও পরিসরে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তার জীবন ও কর্মের বিস্তৃতি এতটাই বিশাল যে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা, এমনকি দিনের পর দিন আলোচনা করলেও তা অসম্পূর্ণই থেকে যাবে।’#


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

[prayer_time pt="on" sc="on"]

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12