দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) চিরুনি অভিযানের সপ্তম দিনে আজ সোমবার ১৩ হাজার ৭৬৩টি বাড়ি, স্থাপনা পরিদর্শনকালে ৮০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৮ হাজার ৪০১টি বাড়ি ও স্থাপনায় ময়লা-আবর্জনা ও জমে থাকা পানি পাওয়ায় সেখানে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে জমে থাকা পানিতে মশার কীটনাশক প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি ফেলে দেয়া হয়।
সোমবার (৯ নভেম্বর) ডিএনসিসির পক্ষ থেকে চিরুনি অভিযানকালে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় এবং অন্যান্য অপরাধে মোবাইল কোর্ট ১৮টি মামলায় ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই চিরুনি অভিযান পরিচালিত হয়।
উত্তরায় অঞ্চল-১ এ ১ হাজার ১৩৭টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ১৮টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৯৯১টি বাড়ি, স্থাপনায় জমে থাকা পানি পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এ সময় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়নের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৫টি মামলায় মোট ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।মিরপুরে অঞ্চল-২ এ ২ হাজার ৮৮৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ২৮৯টি বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম শফিউল আজমের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২টি মামলায় ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মহাখালীতে অঞ্চল-৩ এ ১ হাজার ৬৫৭টি বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শন করে ৩০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১ হাজার ৯৮টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এ সময়ে আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৪টি মামলায় মোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মিরপুর-১০ এ (অঞ্চল-৪) ১ হাজার ৮৪৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ১৪১টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
কারওয়ান বাজারে অঞ্চল-৫ এ ২ হাজার ২০৭টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ১১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৮২৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এবং মোহাম্মদপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানা প্রিয়াংকার নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৪টি মামলায় ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।হরিরামপুরে অঞ্চল-৬ এ ১ হাজার ২৩৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ৬টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৯৯২টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২টি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
দক্ষিণখানে অঞ্চল-৭ এ ৮০৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৬৬৪টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
উত্তরখানে অঞ্চল-৮এ ৬৮২টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ১টিতে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৪৬০টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
ভাটারায় অঞ্চল-৯ এ ৫১৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৩৪৪টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় প্রধান ভান্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সগীর হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১টি মামলায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সাতারকুলে অঞ্চল-১০ এ ৭৮৭টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়নি। এছাড়া ৫৯৭টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সকল স্থানে মশার কীটনাশক প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি ফেলে দেয়া হয়।# প্রেস বিজ্ঞপ্তি