দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) চিরুনি অভিযানের ষষ্ঠ দিনে আজ ১৩ হাজার ৭৬২টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ৯৯টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়।
এছাড়া ৮ হাজার ৪৬১টি বাড়ি ও স্থাপনায় ময়লা-আবর্জনা ও জমে থাকা পানি পাওয়ায় সেখানে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে জমে থাকা পানিতে মশার কীটনাশক প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি ফেলে দেয়া হয়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় এবং অন্যান্য অপরাধে ডিএনসিসির মোবাইল কোর্ট ২০টি মামলায় ২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
রোববার (৮ নভেম্বর) ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই চিরুনি অভিযান পরিচালিত হয়। গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন।
তিনি জানান, উত্তরায় অঞ্চল-১ এ ১ হাজার ১৫৭টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ১৬টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ১ হাজার ৭টি বাড়ি, স্থাপনায় জমে থাকা পানি পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এ সময় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়নের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৭টি মামলায় মোট ৩৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মিরপুরে অঞ্চল-২ এ ২ হাজার ৭২৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ৮টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৩৫০টি বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম শফিউল আজমের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১টি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মহাখালীতে অঞ্চল-৩ এ ১ হাজার ৭১২টি বাড়ি, স্থাপনা পরিদর্শনকালে ৩৬টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১ হাজার ৫২টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এ সময়ে আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৪টি মামলায় মোট ৬৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মিরপুরে অঞ্চল-৪ এ ১ হাজার ৮১৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ৬টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ১০৭টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
কারওয়ান বাজারে অঞ্চল-৫ এ ২ হাজার ১৬৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ১৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৬৯৩টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এবং মোহাম্মদপুরে অবৈধ ভাবে সড়ক দখল করে নির্মাণ সামগ্রী রাখায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানা প্রিয়াংকার নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬টি মামলায় ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
হরিরামপুরে অঞ্চল-৬ এ ১ হাজার ৩২৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ৮টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ১৭৬টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২টি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
দক্ষিণখানে অঞ্চল-৭ এ ৮০৪টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৬৮৪টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
উত্তরখানে অঞ্চল-৮এ ৭৯৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে কোথাও এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। তবে ৫২৭টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
ভাটারায় অঞ্চল-৯এ ৫১১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ২৮০টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
সাতারকুলে অঞ্চল-১০এ ৭৪৭টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়নি। এছাড়া ৫৮৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সকল স্থানে মশার কীটনাশক প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি ফেলে দেয়া হয়।# কাশেম