দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি)বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের (চিরুনি অভিযান) চতুর্থ দিনে আজ বৃহস্পতিবার ১৩ হাজার ৫১৫টি বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শনকালে ৯২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়।
এছাড়া ৮ হাজার ৩৪০টি বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদিতে জমে থাকা পানি পাওয়ায় সেখানে মশার কীটনাশক প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি ফেলে দেয়া হয়।
এডিসের লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আজ ১৭টি মামলায় ১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই চিরুনি অভিযান পরিচালিত হয়। ডিএনসিসির জনসংযোগ বিভাগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
উত্তরায় অঞ্চল-১ এ, ১ হাজার ১০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৮৯০টি বাড়ি, স্থাপনায় জমে থাকা পানি পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এ সময় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়নের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬টি মামলায় মোট ৩৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মিরপুর অঞ্চল-২ এ ২ হাজার ৯৬৪টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৩১৬টি বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
মহাখালীতে অঞ্চল-৩ এ ১ হাজার ৬৬৫টি বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শনকালে ৪২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১ হাজার ১৮৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এ সময়ে আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২টি মামলায় মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মিরপুর অঞ্চল-৪ এ ১ হাজার ৫৩৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ৬টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৮৮০টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
কারওয়ান বাজারে অঞ্চল-৫ এ ২ হাজার ১০০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ১৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৭৯০টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানা প্রিয়াংকার নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১টি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
হরিরামপুরে অঞ্চল-৬ এ ১ হাজার ৪২৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ১২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ২৪৯টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবদুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৭টি মামলায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
দক্ষিণখানে অঞ্চল-৭ এ ৮১৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৬৭৪টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
উত্তরখানে অঞ্চল-৮এ ৮০৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ১টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৪৯৭টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
ভাটারায় অঞ্চল-৯ এ ৫৩৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৩৫২টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সগীর হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১টি মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সাতারকুলে অঞ্চল-১০ এ ৬৫৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে কোথাও এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়নি। এছাড়া ৫০৭টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সকল স্থানে মশার কীটনাশক প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি ফেলে দেয়া হয়।# প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।