দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
এবার দুদকের ভুয়া মহাপরিচালক (ডিজি) মোঃ জাকির হোসেন গ্রেফতার ও তিন মাসের কারাদন্ড দিয়েছে টাঙ্গাইলের একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গত বুধবারে দুদক সমন্বিত টা্ঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের ডাটা এনিট্র কন্ট্রোলার অপারেটর মোঃ মোশারফ হোসেন টাঙ্গাইল সদর থানায় এই মর্মে জিডি করেন।
বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) দুদকের পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।তিনি জিডিতে উল্লেখ করেছেন, জনৈক ব্যক্তি মোবাইল নং-০১৬১১৫২৭৭৬৯ ও ০১৬১৫২১২২৮৮ এর মাধ্যমে দুদকের ডিজি মোঃ জাকির হোসেন পরিচয় দিয়ে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) দাপ্তরিক টেলিফোনে জমি সংক্রান্ত একটি বিষয়ে অনৈতিক তদবির করছেন।
প্রকৃতপক্ষে দুদকের মহাপরিচালক জাকির হোসেন এ জাতীয় টেলিফোন করেননি। এই জিডিতে আরো বলা হয়, এ জাতীয় কার্যকলাপ প্রশাসনিক কাজে যেমন জটিলতা সৃষ্টি করে , তেমনি দুদকের ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব পরতে পারে।
পরাবর্তীতে গত বুধবার জেলা প্রশাসন ও দুদক বিশেষ কৌশলে এই প্রতারক দলের সদস্য টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার মোঃ কামাল উদ্দীনকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে আটক করে। তৎপরবর্তীতে স্থানীয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে- প্রতারক মোঃ কামাল উদ্দীনকে তিন মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন এবং কারাগারে পাঠান।
এখানে উল্লেখ্য দুদক কর্মকর্তা এমনকি দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ব্যবহার করে এক বা একাধিক প্রতারক চক্রের সক্রিয়তা সতর্ক করে দুদক থেকে অসংখ্যবার গণমাধ্যমে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। এ জাতীয় অভিযোগে ইতোমধ্যেই বেশকিছু ব্যক্তিকে আইন আমলে আনা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদক দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চায়-দুদক একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে নির্মোহভাবে আইনি দায়িত¦ পালন করে। এ প্রতিষ্ঠানে কোনো ব্যক্তির একক অভিপ্রায় অনুসারে কাউকে যেমন অভিযুক্ত করার সুযোগ নেই আবার কাউকে দায়মুক্তি দেওয়ারও সুযোগ নেই।
তাই কোনো অবস্থাতেই এসব প্রতারকদের কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে প্রয়োজনে দুদকের গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক মীর মোঃ জয়নুল আবেদীন শিবলী ( মোবাইল নং- ০১৭১১৬৪৪৬৭৫) ও পরিচালক (মিডিয়া) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য-কে এসব বিষয়ে টেলিফোনে অবহিত করুন।
এছাড়া স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানানো যেতে পারে। এসব প্রতারকদের আইন আমলে আনতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।#