দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, সরকার এডিস মশা নিধনে প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে আনা অথবা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিচ্ছে। তিনি বলেন, অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে মশা এখন নিয়ন্ত্রনে আছে।
রোববার (১ নভেম্বর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ে ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশনসমূহ ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার জন্য জুমে অনুষ্ঠিত ৭ম আন্ত: মন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, কৃষি কীটনাশকের থেকে মশা নিধন ঔষধের আমদানি শুল্ক অনেক বেশি হওয়ায় মশা নিধনে কার্যকর ওষুধ এবং যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক মুক্ত অথবা কমে আনার জন্য সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে। তাদের এ দাবির প্রেক্ষিতে মেয়রদের চিঠি দিতে বলা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি বলেন, মশা মুক্ত দেশ পৃথিবীর কোথাও নেই। আমাদের দেশে অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে মশা নিয়ন্ত্রনে আছে। আর এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার কারণে। তিনি নিজেই করোনা মহামারীর মধ্যেও বিভিন্ন খাল, জলাশয় এবং আবাসিক ও নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেছেন বলেও জানান।
আগামী দিনগুলোতে আমরা কিভাবে এডিস মশা নিয়ন্ত্রনে আরো জোরালো ভূমিকা রাখতে পারি সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এডিস মশা নিধনের জন্য বিদেশ থেকে দেশে একটি মাত্র কোম্পানি ঔষধ সরবরাহ করতো। আমরা সেই মনোপলি ভেঙ্গে দিয়েছি। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব রোধে কারো কোন গাফিলতি সহ্য করা হবে না। এব্যাপারে কঠোর মনিটরিং করা হচ্ছে, জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশে মশাসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে নগরবাসীর সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। নগরবাসী যদি নিজেদের আঙ্গিনা অর্থাৎ মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস না করে তাহলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, জেল জরিমানা করেও প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।
আমরা সবাই একসাথে এডিস মশা নিয়ন্ত্রনে কাজ করছি। কোথাও মশার ঔষধের ঘাটতি নেই। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় মানুষ স্বস্তিতে আছে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সভাপতিত্বে জুমে অনুষ্ঠিত সভায় সকল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র/প্রতিনিধি, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অংশ নেন। # কাশেম