দূরবীণ নিউজ ডেস্ক:
ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও গ্রিসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২-এ। উদ্ধারকারীদের অভিযান চলছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে ২০ জন তুরস্কের, দু’জন গ্রিসের।
তুর্কি কর্তৃপক্ষ ২০ জনের মৃত্যু ও প্রায় ৮০০ লোকের আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আর গ্রিসে এক কিশোর ও এক কিশোরী নিহত হয়েছে।সামোস আইল্যান্ডে একটি ভবন তাদের ওপর ভেঙে পড়লে তারা নিহত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, শুক্রবারের ভূমিকম্পটি রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার ছিল। তবে তুরস্কের এএফএডি জানিয়েছে, ইজমির প্রদেশে ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পটি আজিয়ান সাগরের সাড়ে ১৬ কিলোমিটার (১০ মাইল) গভীরে সংঘটিত হয়েছে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আজিয়ান রিসোর্ট সিটি ইজমির। এই নগরীতে ৩০ লাখ লোকের বাস এবং আকাশচুম্বি ভবনে পরিপূর্ণ। কত লোক ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়ে আছে, তা জানা যাচ্ছে না।
ইজমিরের গভর্নর ইয়াভুজ সেলিম কেগার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, চারটি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। এসময় ৭০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
বোসাজিই বিশ্ববিদ্যালয় কান্ডিলি ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কমিটির প্রধান অধ্যাপক হালুক এজেনার বলেন, ভূমিকম্পের পর ১৯টি আফটার শক অনুভূত হয়েছে। যেগুলো ৩.৩ থেকে ৪.৮ মাত্রার ছিল এবং সর্বোচ্চ ১৫ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। ভূমিকম্পে ফল্ট লাইনের ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার সাথে সাথে মানুষজন রাস্তায় নেমে আসেন। ভূমিকম্পের পর ইজমিরের বায়ারকালি জেলায় ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে তিনজনকে টেনে বের করা হয়।
ভূমিকম্পে বেশ কয়েকটি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছ বলে জানিয়েছেন ইজমিরের মেয়র। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার কথা জানিয়ে বলেন, সম্ভাব্য সবকিছু করার জন্য সমবেতভাবে সবাই অংশ নিয়েছে।
সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান কাজ করেছে বলে জানান এরদোগান।
ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় এলাজিগ প্রদেশে ভূমিকম্পে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়। আহত হয় ১৬০ জন। ২০১৯ সালের জুলাইতে গ্রিসের অ্যাথেন্সে ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে শহরের অধিকাংশ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ১৯৯৯ সালে ইস্তাম্বুলের পার্শ্ববর্তী ইজমির শহরে শক্তিশালী ভূমিকম্পন আঘাত হেনেছিল। এতে ১৭ হাজার মানুষ নিহত হয়। # সূত্র : আল জাজিরা, ডেইলি সাবাহ ও রয়টার্স