দূরবীন নিউজ প্রতিবেদক:
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) অ্যাডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌস রূপাকে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, -জালিয়াতি ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে অস্ত্র ও মাদক মামলর আসামি বিতর্কিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীমসহ একাধিক আসামিকে জামিন পেতে সহায়তার করার।
বুধবার ( ২৮ অক্টোবর) দুদকের উপ-পরিচালক (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-২) মোহাম্মদ ইব্রাহীম স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌস রূপাকে আগামী ৪ নভেম্বর সকালে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের কপি নিয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
দুদকের পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের চিঠিতে বলা হয়েছে, এ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের বিরুদ্ধে মারাত্মক দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতির চিহ্নিত দাগী আসামি জি কে শামীমসহ বিভিন্ন আসামিকে জামিন করিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি ইতোমধ্যে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বিপুল পরিমান সম্পদ অর্জন করেছেন। আর ওইসব অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বক্তব্য গ্রহণ করতেই দুদক থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, চলতি বছরের ৪ ও ৬ ফেব্রুয়ারি অস্ত্র ও মাদকের দুই মামলায় জি কে শামীমকে অস্ত্র মামলায় ছয় মাস এবং মাদক মামলায় এক বছরের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মুজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এবং বিচারপতি রেজাউল হক ও বিচারপতি বিশ্বদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ পৃথক ওই দুই মামলায় জি কে শামীমকে জামিন দেন
শুধু তাই নয়, জি কে শামীমের হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার বিষয়টিও গোপন রাখা হয়েছিল। গত মার্চের প্রথম সপ্তাহে জামিনের বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পর আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে ৮ মার্চ তথ্য গোপন করে জামিন নেওয়ায় তার জামিন স্থগিত ও বাতিল করা হয়।#