দূরবীণ নিউজ ডেস্ক:
সুনিদিষ্ট কারণ ছাড়া বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া মহেশচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং এমএলএসএসকে বরখাস্ত করাল ঘটনায় উল্টো মাউশির মহাপরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যানসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওই মামলায় মাউশি মহাপরিচালক ও বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ৪৭ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। এর মধ্যে এক মামলায় বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল ইসলাম ২৩ জনকে এবং দ্বিতীয় মামলায় এমএলএসএস সমীর কৃষ্ণ মন্ডল ২৪ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
রোববার (২৫ অক্টোবর) উজিরপুর সহকারী জজ আদালতে ওই মামলা দুটি করেন গুঠিয়া মহেশচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহবুবুল আলম ও এমএলএসএস সমীর কৃষ্ণ মন্ডল।
এদিকে সোমবার মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজাদ রহমান গণমাধ্যমকে জানান, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক, বরিশাল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উজিরপুর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উজিরপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক, রূপালী ব্যাংক ভবানিপুর শাখার ম্যানেজার, উজিরপুর গুঠিয়া শাখার ম্যানেজার, অগ্রণী ব্যাংক বানারীপাড়া শাখার ম্যানেজার, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আওরঙ্গজেব, শিক্ষক সদস্য মোঃ আলমগীর হোসেন, রবীন্দ্র নাথ মন্ডল, বিথীকা মন্ডল, অভিভাবক সদস্য মোঃ ইউসুফ আলী মোল্লা, মোঃ ছুরাত মোল্লা, মোঃ নাসির উদ্দিন খান, মোঃ নিজাম সরদার, শিরিন সরোয়ার, বিদ্যেৎসাহী সদস্য মোঃ আতাহার আলী হাওলাদার, সহকারী শিক্ষক মোঃ মোস্তফা কামাল, প্রধান শিক্ষক ও সম্পাদক ম্যানেজিং কমিটিসহ ৪৭ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
এসএলএসএস সমীর কৃষ্ণ মন্ডলের মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালের ২৭ মে গুঠিয়া মহেশচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কুলে এমএলএসএস পদে যোগদান করে দায়িত্ব পালন শুরু করেন তিনি। কোনো কারণ ছাড়াই বিবাদীরা ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর ৯/২০২০ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১নং বিবাদী বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চাকরি বিধি ১৯৭৯ উপেক্ষা করে ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন এবং ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর ১নং বিবাদী সমীর কৃষ্ণ মন্ডলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠান।
প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহবুবুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালের ২৮ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করে দায়িত্বরত ছিলেন। ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৫ অক্টোবর তাকে বেআইনিভাবে সাময়িক বরখাস্ত করেন। তাছাড়া ২১ সেপ্টেম্বর ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নিজাম সরদার স্কুলের মালামাল কক্ষের চাবি প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে নিয়ে যান।
প্রধান শিক্ষক মামলায় উল্লেখ করেন, বিদ্যালয়ের মালামাল সংরক্ষিত রুমের চাবি নিয়ে যাওয়া এবং বিদ্যালয়ের নোটিশ বই, রেজুলেশন বই, ক্যাশ বই, জব্দ করা ও নিয়ে যাওয়া হঠকারিতা এবং উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। এর প্রতিকার এবং স্বপদে বহাল থাকার দাবি জানানো হয় আদালতে। অ্যাডভোকেট আজাদ রহমান জানান, আদালত মামলাটি শুনানির আশ্বাস দিয়েছেন। # সূত্র : ইউএনবি