দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা-৫ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ ভোটে অনিয়মের অভিযোগ ভোটের ফলাফল বর্জন করে পুঃননির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন । একই সঙ্গে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি জানান তিনি। এ অনিয়মের প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার দুপুর দুইটায় নির্বাচনী এলাকায় মানবন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিন ও যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান ভাণ্ডারীসহ বিভিন্ন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি এই নির্বাচনের প্রথম দিন থেকে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের দ্বারা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়েছি। এমনকি আমি মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছি সেখানেও আমাকে বাধা দেয়া হয়েছে। আমার তো জন্মগত অধিকার এ এলাকার কোনো মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া এবং তাদের কাছে ভোট চাওয়া, দোয়া চাওয়া।
কিন্তু সেটাও আমাকে করতে দেয়া হয়নি। আমরা যখনি গণসংযোগে গিয়েছি জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়েছে এবং তখনই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমাদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমাদের নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে নির্যাতন করেছে। আপনারা দেখেছেন দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের দুই নারী এজেন্ট বোনকে অপদস্ত করে বের করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আর কে মিশন চৌধুরী স্কু্লে আমাদের আরেক নারী এজেন্টের উপর হামলা করে বের করে দেয়া হয়েছে। এমনকি তার গায়ে হাতও দেয়া হয়েছে।’
এসময় প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রতি অভিযোগ তুলে বিএনপির এ প্রার্থী বলেন, ‘প্রায় সব কেন্দ্রেই আমাদের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে এজেন্ট ঢুকেছে তাদেরও বের করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বারবার অবহিত করলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। তাই আমরা এ অনিয়মে জর্জরিত অবৈধ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি এবং পুনঃনির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।’#