দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা অবৈধ সম্পদের মামলাটি আগামী ৩০ দিনের মধ্যে শুনানি গ্রহণ করে নিষ্পত্তি করার জন্য বিচারিক বিশেষ জজ আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলমবাদী হয়ে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবরের বিরুদ্ধে সাত কোটি পাঁচ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন ও মিথ্যা তথ্য প্রদানের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনানি গ্রহণ করে এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে এ মামলাটির বিচারিক আদালত পরিবর্তনের জন্য আসামিপক্ষের করা আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টে আজ দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা। আর আসামি বাবরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী পারভেজ হোসেন।
জানা যায়, বিএনপি জোট সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লুৎফুজ্জামান বাবর। এছাড়াও বাবরের বিরুদ্ধে দুদকের করা অবৈধসম্পদের মামলাটি ঢাকা বিশেষ জজ আদালতে বিচারিক রয়েছে। বাবরের পক্ষ থেকে এ মামলাটির বিচারকার্যে আদালত পরিবর্তনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করায় মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। তবে আজেকের ১৪ অক্টোবর হাইকোর্টের এ আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ নিবেন ওই বিচারিক আদালত।
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, মামলার এজাহারে আসামির বিরুদ্ধে সাত কোটি পাঁচ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন ও মিথ্যা তথ্য প্রদানের অভিযোগ আছে। দুদকের সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে দুদকের উপপরিচালক রুপক কুমার সাহা তদন্ত করে ২০০৮ সালের ১৬ জুলাই অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে চলতি বছরের ১ মার্চ ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারা মতে পরীক্ষা করা হয়।
এদিকে আসামিপক্ষ সাফাই সাক্ষী দেবে না, তবে লিখিত বক্তব্য দেবে বলে সময় নেন। এভাবে মোট তিন বার লিখিত বক্তব্য না দিয়েও বাবরের পক্ষে সময় নেওয়া হয়। পরে হাইকোর্টে তারা আদালত পরিবর্তনের আবেদন করেন।
কিন্তু আদালত পরিবর্তনের উপযুক্ত কারণ না থাকায় হাইকোর্ট বাবরের আবেদন খারিজ করে দিলেন। আগামী ১৫ নভেম্বর বিচারিক আদালতে এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। #