দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
দেশের আলোচিত নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহ মামলায় কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) ছয় কর্মকর্তাসহ ৭ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে গত ঋহস্পতিবারে ইমেগ্রশনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সোমবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব দিলোয়ার বখ্ত সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
দুদকের মামলার ওই ৭ আসামি হলেন- কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) উপ-পরিচালক ডা. জাকির হোসেন, সহকারী পরিচালক (স্টোরেজ অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন) ডা. শাহজাহান সরকার, চিফ কো-অর্ডিনেটর ও ডেস্ক অফিসার জিয়াউল হক, ডেস্ক অফিসার (বর্তমানে মেডিক্যাল অফিসার, জামালপুর) সাব্বির আহমেদ, স্টোর অফিসার (পিআরএল ভোগরত) কবির আহমেদ এবং সিনিয়র স্টোর কিপার ইউসুফ ফকির এবং জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক।
এদিকে মামলার ৭ নম্বর আসামি জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে ৫ দিনের রিমান্ডে এনে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আজ সোমবার ৫দিনের রিমান্ডে দ্বিতীয় দিন জিজ্ঞা্সাবাদের ফলো আপ নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন দুদক সচিব।
দুদক সচিব বলেন, নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহ কেলেঙ্কারির ঘটনায় আরো সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারী জড়িত কিনা, তা জানার জন্যই আব্দুর রাজ্জাককে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।প্রয়োজন হলে,পর্যায়ক্রমে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাকী আসামিদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন।এ বিষয়টি একান্ত তদন্ত কর্মকর্তার।তবে তদন্তে অন্যকারো জড়িত থাকার তথ্য উপাত্ত্ব পাওয়া গেলে অবশ্যই চার্জশিটে তাদেরকে আসামি করা হবে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, আগামী বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) ৫দিনের রিমান্ড শেষে আসামি জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য,গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বাধীন একটি সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে আসামি জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করেন।এর আগে ওইদিনই (২৯ সেপ্টেম্বর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) ছয় কর্মকর্তা ও আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, চিকিৎসক-নার্স এবং অন্যদের করোনা থেকে রক্ষার জন্য এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের জন্য জেএমআই গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছিল সরকার। জেএমআই গ্রুপ ২০ হাজার ৬১০টি মাস্ক সরবরাহ করে। পরে দেখা যায়, ওই মাস্কগুলো এন-৯৫ মাস্ক নয়। সেগুলো ১০টি প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হয়েছিল।
নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনা, সেসব সরঞ্জাম বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গত ১০ জুন অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।#