দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড চেয়ারম্যানসহ পরিচালনা কমিটির কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম,দুর্নীতি ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ ডিএইচএমএস ডক্টরস ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা।একইসঙ্গে তারা সরকারের কাছে হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে চার দফা দাবি জানিয়েছেন।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর)বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন কার্যালয়ে বাংলাদেশ ডিএইচএমএস ডক্টরস ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযোগের পাশাপাশি ৪দফা দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ ডিএইচএমএওস ডক্টরস ফাউন্ডেশনের জেনারেল সেক্রেটারী ডাঃ মোঃ ওমর কাওছার দাাবিগুলো উপস্থাপন করেনে। তাদের দাবি গুলো হচ্ছে, ডিএইচএমএস কোর্সের শিক্ষাগত মান নির্ধারণ, ডিএইচএমএস উত্তীর্ণদের উচ্চ শিক্ষার গবেষণার সুযোগ প্রদান এবং প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু হোমিওপ্যাথি ইউনিভার্সিটির প্রার্থমিক অনুমোদন প্রদান। এছাড়া ডিএইচএমএস চিকিৎসকদের সরকারী চাকুরীর ব্যবস্থা করার দাবি করা হয়েছে।
তিনি হোমিওপ্যাথি এক্ট ১৯৮৩ অবজ্ঞা করে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে চিকিৎসা প্রতিনিধি বাদ দিয়ে বাংলাদেশ হোমিও বোর্ড গঠন এবং হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের চেয়ারম্যান কতিপয় বোর্ড সদস্যবৃন্দের ব্যাপক দুর্নীতির কারণে বোর্ড পরিচালনা কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার দাবি জানান।
ডাঃ মোঃ ওমর কাওছার বলেন, হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার পর ডাঃ দিলীপ রায় ৩৪টি নুতন কলেজের অনুমোদন দিয়েছেন।শিক্ষক কর্মকর্তা পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ নিয়মতান্ত্রিকভাবে করা হয়নি।
হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান আইন ভঙ্গ করে স্বীকৃতির ৬ মাসের মধ্যে কলেজের জন্য ৫০ লাখ টআকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন কলেজের নামে ৩০ লাখ টাকা অনুমোদন দিয়েছেন। এ অভিযোগ তদন্ত করে দ্রুত আইনী পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সংগঠনের কর্মকর্তারাা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল ফেডারেশনের সভাপতি ডাঃ সাখাওয়াত ইসলাম ভুইয়া, ডাঃ হুমায়ূন কবির , ডাঃ রোকেয়া বেগম, ডাঃ আফরোজা সুলতানা দিপালী, ডাঃ আকবর হোসাইন, ডাঃ মোঃ এনামুল হক, ডাঃ খন্দকার লিটন প্রমূখ। #