দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
নারাণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় এপর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) আরও ২ জন মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ ফরিদ (২১) ও নজরুল ইসলাম (৪০) মারা যায়।
ঢামেক হাসপাতালের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন । তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪ টা থেকে ৫টার মধ্যে আই সি ইউ তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। শেখ ফরিদের শরীরে ৯৩ শতাংশ এবং নজরুল ইসলামের ৯৪ শতাংশ পুড়ে যায়।
তিনি জানান, এরআগে সকাল সোয়া ৯টার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুস ছাত্তারের (৪০) মৃত্যু হয়।
ডা. পার্থ শংকর পাল জানান, ছাত্তারের শরীরে ৭০ শতাংশ বার্ন ছিল। চিকিৎসাধীন বাকি ৫ জনের কেউ শঙ্কামুক্ত নন। সবাই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।
মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে এ পর্যন্ত যারা মারা গেছেন, তারা হলেন- ইমাম আবদুল মালেক (৬০), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮) ও তার ছেলে জুনায়েদ (১৭), দুই ভাই জোবায়ের (১৮) ও সাব্বির (২১), কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), মোস্তফা কামাল (৩৪), রাশেদ (৩০), হুমায়ুন কবির (৭২), জামাল আবেদিন (৪০), ইব্রাহিম বিশ্বাস (৪৩), মো. রিফাত (১৮), মাইনুউদ্দিন (১২), ফতুল্লার জয়নাল (৩৮), নয়ন (২৭), নিজাম (৩৪), রাসেল (৩৪), কাঞ্চন হাওলাদার (৫০), শিশু জুবায়ের (৭), নাদিম (৪৫), বাহার উদ্দিন (৫৫), শামীম হাসান (৪৫) জুলহাস (৩৫), মোহাম্মদ আলী (৫৫), আবুল বাশার মোল্লা (৫১), মনির ফরাজি (৩০), ইমরান হোসেন (৩০), আবদুল হান্নান (৫০), আব্দুস ছাত্তার (৪০), শেখ ফরিদ (২১) ও নজরুল ইসলাম (৪০)।
৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত মসজিদে এ বিস্ফোরণ হয়। মসজিদের নিচে গ্যাসের লাইনে অসংখ্য লিকেজ থেকে গ্যাস বের হয়ে এ বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা ধারনা করছে। এ ঘটনার পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তিতাসের ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। # কাশেম