দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক জাহেদ হোসেন। তিনি বলেন, ওয়াহিদা খানমের জ্ঞানের মাত্রা স্বাভাবিক মানুষের জ্ঞানের মাত্রার সমান।
এখন উনি সবাইকে চিনতে পারছেন। কথা বলেছেন। স্বামীর সঙ্গেও কথা বলেছেন। ওয়াহিদা খানমের চিকিৎসায় ৮ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
ওয়াহিদা খানমের শরীরের ডান পাশ অবশ। কবে উন্নতি হবে, তা বলা কঠিন। ডান পাশের বিষয়টি বাদে ওনার অনেক উন্নতি হয়েছে জাহেদ হোসেন, চিকিৎসক
চিকিৎসক জাহেদ হোসেন বলেন, তবে ওয়াহিদা খানমের শরীরের ডান পাশ অবশ। কবে উন্নতি হবে, তা বলা কঠিন। ডান পাশের বিষয়টি বাদে ওনার অনেক উন্নতি হয়েছে।
শনিবার (৫ সেপ্টম্বর) সকালে ওয়াহিদা খানমকে দেখতে যান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশীদ আলম ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া।
বোর্ডের প্রধান করা হয়েছে রাজধানীর আগারগাঁও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের পরিচালক কাজী দীন মোহাম্মদকে। সদস্যসচিব জাহেদ হোসেন। তাঁর অধীনে ওয়াহিদা খানম চিকিৎসাধীন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খুরশীদ আলম ও অন্যরা সাংবাদিকদের ইউএনওর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানান।
চিকিৎসক জাহেদ হোসেন বলেন, ইউএনওকে এখনো নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তিনি আশঙ্কামুক্ত হয়েছেন কি না, তা ৭২ ঘণ্টা পর নিশ্চিত করে বলা যাবে।
রাজধানীর আগারগাঁও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে ওয়াহিদা খানমের মাথায় অস্ত্রোপচারের পর গত বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁর জ্ঞান ফেরে।
গত বুধবার গভীর রাতে ঘোড়াঘাটে সরকারি বাসায় ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলীকে (৭০) হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আহত বাবা-মেয়েকে বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ওয়াহিদার অবস্থার অবনতি হলে পরে জরুরি ভিত্তিতে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে তাঁকে ঢাকায় এনে আগারগাঁও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করা হয়। এখানেই তাঁর মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। তাঁর বাবা ওমর আলী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। # সূত্র- প্রথম আলো।