দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
এবারের দীর্ঘমেয়াদী বন্যা ও জোয়ারে মানিকগঞ্জে জেলায় ৬৫১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩০৬টি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনো কোনো বিদ্যালয় নদীর তীব্র স্রোতের কারণে দেয়াল দেবে গেছে, কোনো কোনো বিদ্যালয়ে খেলার মাঠের মাটি সরে গেছে, বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস কুমার অধিকারী জানান, জেলায় ৬৫১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩০৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ৭০টি, ঘিওর উপজেলায় ৬৮টি, সিংগাইর উপজেলায় ৪০টি, সাটুরিয়া উপজেলায় ৪৯টি, হরিরামপুর উপজেলায় ১৫টি, শিবালয় উপজেলায় ৩০টি বিদ্যালয় এবং দৌলতপুর উপজেলায় ৩৪টি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের দেয়াল দেবে গেছে, খেলার মাঠের মাটি সরে গেছে এবং সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এসব বিদ্যালয় পাঠদানের উপযোগী করতে ২ কোটি ৬০ লাখ ৫ হাজার টাকা খরচ হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। ইতোমধ্যে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে।
জেলায় এবারের বন্যা ও নদী ভাঙ্গনে বিদ্যালয়ের ভবন, মাঠ, সংযোগ সড়ক ভেঙে প্রায় ৩ শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের হিসাব মতে এতে আড়াই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া দৌলতপুর উপজেলায় তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়গুলোর সংস্কার কাজ করতে কমপক্ষে দুই কোটি ৬০ লাখ টাকা খরচ হবে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ৩৪ নম্বর বাঁচামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৯৮ নম্বর সুবুদ্ধি-পাচুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৩ নম্বর চরকাটারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে মুসলিম নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। # কাশেম