দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা (উপসচিব) মো. রাসেল সাবরিনের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণা, দুর্নীতি, অর্থ কেলেঙ্কারি এবং হাইকোর্টের আদেশ অমান্যের অভিযোগে আনেন “বাবু বাজার ব্রীজ এলাকার” কার পাকিং ইজারাদার হাজী সালেহ মোহাম্মদ ও ইমরান হোসেন ডন।
সোমবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন এই অভিযোগ করেন তারা। ইমরান হোসেন ডন বলেন, ডিএসসিসির ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে বাবু বাজার ব্রীজের নিচে নব নির্মিত কার পাকিংয়ের জন্য ৪টি ব্লকে প্রকাশ্যে টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করে সর্বোচ্চ ইজারাদার নির্বাচিত হয়েছেন তারা।
ডিএসসিসির টেন্ডার মূল্যায়ণ কমিটির গত ১১ ফেব্রুয়ারির সভায় হাজী সালেহ মোহাম্মদকে ওই এলাকার কার পাকিংয়ের জন্য ইজারাদার মনোনিত করা হয়েছে। পরে ওই সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. রাসেল সাবরিনের স্বাক্ষরে ইজারাদার হাজী সালেহ মোহাম্মদকে গত ১০ মার্চ চিঠির মাধ্যমে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ইজারামূল্যসহ অন্যান্য ট্যাক্স পরিশোধ করতে বলেন।
চিঠির আলোকে হাজী সালেহ মোহাম্মদ ৬ কার্যদিবসের মধ্যে ইজারা মূল্য ৩৪ লাখ ৩০ হাজার থেকে ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বাদ দিয়েছে ২৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ভ্যাট ৫ লাখ ১৪ হাজার ৫ শত টাকা, আয়কর ১ লাখ ৭১ হাজার ৫ শত টাকা এবং জামানতসহ প্রায় ৪২ লাখ টাকা জমা দেন। কিন্তু প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ইজারাদারকে কার্যাদেশ না দিয়ে অহেতুক ঘুরাতে থাকেন। এই বিষয়ে ভিকটিম ডিএসসিসির প্রধান নির্বার্হী কর্মকর্তা ও সচিবের দপ্তরে আবেদন নিবেদন করেও কোনো সুফল পাননি বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ আনেন, ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. রাসেল সাবরিন গত ১৫ জুলাই ‘দৈনিক সমকাল’ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ‘বাবু বাজার ব্রীজ এলাকার” কার পাকিং’ ইজারাদারার জন্য পুনরায় টেন্ডার আহবান করেন।
এদিকে নিরুপায় হয়ে গত ২৭ জুলাই হাজী সালেহ মোহাম্মদ হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। হাইকোর্ট ‘বাবু বাজার ব্রীজ এলাকার” কার পাকিং’ ইজারাদারার জন্য পুনরায় টেন্ডার সংক্রান্ত কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা উচ্চ আদালতের এই নির্দেশ অমান্য করে টেন্ডারের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। এমনকি ওই টেন্ডারে একমাত্র অংশ গ্রহণকারী মো. রিয়াজ উদ্দিনকে সর্বোচ্চ দরদাতা উল্লেখ করে গত ১৩ আগস্ট কার্যাদেশ দেন।
অথচ আবেদনকারী হাজী সালেহ মোহাম্মদের সমুদ্বয় টাকা এখনো ডিএসসিসির ফান্ডে জমা রয়েছে। তিনি এই ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। # কাশেম